ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান শ্রম উপদেষ্টার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:৪১, জুলাই ১৭, ২০২৫
সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান শ্রম উপদেষ্টার সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যসম্পর্ক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী গ্রেস ফু’র সঙ্গে সচিবালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে শিপিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (১৬ জুলাই) সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সিঙ্গাপুরের পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য সম্পর্কবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী গ্রেস ফু’র সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেরিন একাডেমিগুলো থেকে প্রতিবছরই দক্ষ ও মেধাবী মেরিনাররা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করছেন। সিঙ্গাপুরের শিপিং সেক্টরে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তারা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশও বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পোশাক শিল্পেও অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের পোশাক বিশ্বমানের। ইউরোপ আমেরিকারসহ সারাবিশ্বে বাংলাদেশের পোশাকের বিশাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যেরও বিশ্বজুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের তৈরি উন্নতমানের পোশাক ও পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী আমদানি করতে পারে।  

সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে জাহাজ শিল্প, তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য সেক্টরে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।  

বৈদেশিক বিনিয়োগের সকল প্রক্রিয়া এখন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে।  

এ সময় উপদেষ্টা বাংলাদেশে নির্মাণাধীন একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়িতে আন্তর্জাতিকমানের একটি ডকইয়ার্ড/শিপইয়ার্ড নির্মাণে সিঙ্গাপুর সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।  

এ ছাড়া বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক ট্রানজিট বা ওয়ার্কিং ভিসা দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশি বন্দর ব্যবস্থাপনায় যেসব জনবল নিয়োজিত রয়েছে তাদের আধুনিক ও উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।  

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কবিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্তমন্ত্রী বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও ব্যবসা বাণিজ্যে ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সিঙ্গাপুর সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এ ছাড়া বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নেও সিঙ্গাপুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।