ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৭ জুন ২০২৫, ২০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ইরানের প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষামূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৩, জুন ১৭, ২০২৫
ইরানের প্রতিক্রিয়া আত্মরক্ষামূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

ঢাকা: ইরানে দখলদার ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে ‘সুস্পষ্ট আগ্রাসন’ এবং ‘আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।

তেহরানে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক বৈঠকে আব্বাস আরাগচি এ মন্তব্য করেন।

 

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার ইরান দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

আরাগচি জানান, এই হামলাগুলো শুক্রবার (১৩ জুন) সকালেই কোনো পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই শুরু হয়, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু আলোচনা চলছিল এবং এর ষষ্ঠ দফা ওমানের রাজধানী মাসকাটে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।  

আব্বাস আরাগচি জোর দিয়ে বলেন, নতাঞ্জের পরমাণু স্থাপনায় ও তেহরানের আবাসিক এলাকায় হামলা, বেসামরিক নাগরিক, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের নিজ বাড়িতে হত্যা আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থি এবং বেআইনি।

তিনি কিছু দেশের পক্ষ থেকে ইরানের প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর দুর্বল প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে বলেন, কেউ কেউ ইসরায়েলকে দোষারোপ করার পরিবর্তে বরং ইরানকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।

তিনি স্পষ্ট করে জানান, ইরানের পাল্টা হামলা আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত এবং ‘বৈধ আত্মরক্ষা’ নীতির আওতায়, যা শুধু ‘অধিকৃত ভূখণ্ডে’ অবস্থিত সামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইরানের তেল শোধনাগার ও অর্থনৈতিক অঞ্চল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার পর ইসরায়েলের অর্থনৈতিক স্থাপনায় পাল্টা জবাব দেওয়া হয়েছে।

তিনি এই আগ্রাসনের বিশ্বব্যাপী নিন্দা জানানোর আহ্বান জানান এবং সতর্ক করে দেন যে এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের প্রতি উদাসীনতা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাক্বাঈ, সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে (এক্স) লিখেছেন, ‘আগ্রাসী ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী তাদের প্রচারে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যেন তারা অত্যন্ত নিখুঁতভাবে হামলা চালায় এবং আবাসিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, মাত্র তিনটি হামলায় ৭০ জনের বেশি নারী ও শিশু নিহত হয়েছে।

চামরান শহরতলীর যে ভবনে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ২০ শিশুর মধ্যে এখনও ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। আগ্রাসী শাসকগোষ্ঠী একদিক থেকে ঠিকই বলেছে তারা সত্যিই নির্ভুলভাবে হামলা করে কিন্তু সেই হামলার লক্ষ্য নারী ও শিশুরা। এই বর্বরতা তাদের স্বভাবসুলভ আচরণ। ’

টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ