ঢাকা: পবিত্র ঈদ-উল-আজহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। শেষ মুহূর্তে বাসের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলীর বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
পরিবহন কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, কাউন্টারগুলোতে শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। একই সঙ্গে মহাসড়কে যানজট থাকায় কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে বলে তারা জানান।
এ বিষয়ে যমুনা লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার শাহীন বলেন, সরকারি ছুটি থাকায় শেষ মুহূর্তে বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। কোরবানির কারণে পশুর গাড়ির চাপ থাকায় কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় আছে। তবে সকালের গাড়িগুলো শিডিউল অনুযায়ী চললেও পরবর্তী গাড়িগুলোর কথা বলা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গাবতলী গরুর হাটের কারণে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হলেও যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বলে জানিয়েছেন কল্যাণপুরে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।
শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাদল বলেন, সকাল ৯টার গাড়ি গাবতলী থেকে ছাড়ছে ১১টায়। তাও টার্মিনাল থেকে বের হতে সময় লাগছে ২০ মিনিট। পরের গাড়ি সকাল সাড়ে ১০টার, গাড়ি পেছনে আছে, কখন আসতে পারবে নিশ্চিত নয়। গাবতলী এসে গাড়ি ঘুরে আসতেই তিন ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রংপুরগামী যাত্রী রফিকুল ইসলাম পরিবার নিয়ে আজিমপুর থেকে এসেছেন সকালেই। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা আগে এসেছি। কিন্তু এরপরও ৩ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে, এখনো গাড়ির দেখা নেই। কখন বাড়ি যেতে পারবো, বুঝতে পারছি না।
শ্যামলী এন আর পরিবহনের সুপারভাইজার মো. আসলাম বলেন, নবীনগর থেকে গাবতলী পর্যন্ত রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। পশুর গাড়ির কারণে এমনটা হচ্ছে। যাত্রীরা জানেন এখানে জ্যাম স্বাভাবিক, তারপরও আমরা ভালো সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এদিকে বড় বড় কোম্পানিগুলো আগেই অনলাইনে টিকিট বিক্রি করে ফেলেছে। টিকিট ছাড়া যাত্রীরা বাস কাউন্টারগুলোতে এসে পড়েছেন বিপাকে। বাধ্য হয়েই লোকাল বাসগুলোর যাত্রী হতে হয়েছে অনেককে।
সেই সুযোগে লোকাল বাসগুলোও ছুটছে দূরপাল্লায়। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
সব মিলিয়ে ঈদযাত্রা ঘিরে যাত্রীদের দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না।
এসএমএকে/এসআইএস