ঢাকা, শনিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

মুরগির বাজার চড়া, কমেছে সবজির দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৩৯, জুন ৬, ২০২৫
মুরগির বাজার চড়া, কমেছে সবজির দাম

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই মুরগির দামে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে। একদিনের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

তবে বিপরীতে বেশিরভাগ সবজির দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে কিংবা কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা কমতিও লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে ভিড় ছিল তুলনামূলক কম। তবে যারা এসেছেন, তাদের অভিযোগের মূল বিষয় ছিল— মুরগির দাম।

শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোনালি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে, যেখানে একদিন আগেও তা ২৬০ টাকা ছিল। সোনালি হাইব্রিডের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে সবজির বাজারে দেখা গেছে খানিকটা স্বস্তির চিত্র। গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, দেশি পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দুল ও চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কচুর মুখী ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সাজনা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, এবং পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে। শীতকালীন সবজির মধ্যে ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতি পিস, প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৭০ টাকা এবং মুলা ৫০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৭০ টাকা কেজিতে।

বাজারে শাকসবজির মধ্যে লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৩ আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ২০ টাকা দরে।

মাছের বাজারেও ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা কম ছিল, তবে দাম ছিল তুলনামূলক স্থিতিশীল। চাষের শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩৫ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া এবং কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ও কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকা এবং টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। পাঁচ মিশালি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা এবং বট বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংসের দাম রয়েছে ১২০০ টাকা প্রতি কেজিতে।

বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজিতে। আদা পাওয়া যাচ্ছে ১৩০ থেকে ২৮০ টাকায়, দেশি রসুন ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ২২০ টাকা কেজি দরে। ডালের বাজারে দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারি ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং ‘২৮’ চাল ৬৫ টাকা কেজি দরে।

এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, আর দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।