ঢাকা, বুধবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি

ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৫৬, মে ২০, ২০২৫
বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি

ঢাকা: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

‘ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট শহিদ ইব্রাহিম রাইসির গভার্নেন্স মডেল’ শীর্ষক এ স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানীর গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মৌলানা ফাহিমুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেযা মীরমোহাম্মাদী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়কের যত ভালো গুণ থাকা দরকার ছিল তার সব গুণই আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে বিদ্যমান ছিল। তিনি পবিত্র কোরআনের নির্দেশনাকে যথাযথভাবে তার জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি অন্তরে যা ধারণ করতেন, মুখে তাই বলতেন এবং কর্মের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতেন। তার কাজে ও কর্মে প্রধান লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জনগণের সন্তুষ্টি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন প্রেসিডেন্ট। তার জনপ্রিয়তা কেবল নিজ দেশেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। তিনি বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের কাছেই প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ও তার সঙ্গীদের শাহাদাতের ঘটনায় সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইরানসহ গোটা মুসলিম বিশ্বে বিশেষ করে বিশ্বের সব মানবতাবাদী মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার শাহাদাতে সারাবিশ্বের মানুষ কেবল শোক ও সহমর্মিতা জানিয়েছে তাই নয়, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জাতীয়ভাবে শোক পালন করেছে। তাকে বলা হতো জনতার প্রেসিডেন্ট। তার জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছিল।

বক্তারা বলেন, ইব্রাহিম রাইসি নিজ দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তেমনি বৈদেশিক কূটনীতিতেও রয়েছে তার অনেক বড় সফলতা। তার প্রশাসনের সবচেয়ে গৌরবময় প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ফিলিস্তিন এবং সেখানকার প্রতিরোধের বিষয়ে বাস্তবিকভাবে বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকের অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করা। এক্ষেত্রে তার ভূমিকা সারাবিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।