ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রিজ ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে ৩ গ্রামের মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
ব্রিজ ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে ৩ গ্রামের মানুষ

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজ খালের মধ্যে ধ্বসে পড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে তিন গ্রামের মানুষ।

জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের রামেরবাজার থেকে সাহেবেরহাট খালের ওপর ২০০০ সালে এলজিইডি’র অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল।

যে ব্রিজটির মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পর ভেঙে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ব্রিজটির মাঝের অংশ দেবে যাওয়ার ছয় বছর পরও এলজিইডি বিভাগকে জানালেও তারা সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা করেনি। গত বুধবার রাতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি খালের মধ্যে ধসে পরে।

ব্রিজটির অচলাবস্থার কারণে আগে থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল, শুধু হেঁটে চলাচল সম্ভব ছিল। সর্বশেষ ব্রিজটি ধ্বসে পরার কারণে তাও বন্ধ হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইরি ব্লকের চাষিরা। বিকল্প কোনো যাতায়াতের পথ না থাকায়, ব্রিজের পাশে কোনোভাবে সাঁকো নির্মাণ করে পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ কোমলমতি শিশু-বৃদ্ধরা।

পশ্চিম মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় সাংবাদিক প্রবীর বিশ্বাস ননী জানান, এ ব্রিজটির ওপর দিয়ে তাদের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয়। ব্রিজটি ধসে পড়ায় এখন আর কোনো যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে পার হয়ে হেঁটে বাড়ি যেতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য অমল হালদার বলেন, ২০০০ সালে নির্মিত এ ব্রিজটিতে মানুষ উঠলেই সবাই আতঙ্কে থাকতো। অথচ ব্রিজটি মেরামতের জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

স্থানীয় লীলা বিশ্বাস বলেন, এ ব্রিজের ওপর দিয়ে পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে।  ব্রিজটির লোহার খুঁটি এবং ঢালাই স্লাব ধসে যাওয়ায় পশ্চিম মোল্লাপাড়া, দীঘিবালী ও ঐচারমাঠ গ্রামের শতাধিক পরিবার চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিতে পরেছেন।

ধান ব্যবসায়ী অজয় সমদ্দার জানান, এ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। এখানকার চাষিরা ধান বিক্রি করতে চাইলেও শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের কারণে কোনো পরিবহন নিতে না পারায় ধান কিনতে পারছি না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ  ব্রিজটি ধসে পড়ার খবর পেয়েছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে। সেতুটি সংস্কার করা হলে এ এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৪
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।