ঝালকাঠি: জেলার গাবখান টোল প্লাজায় ট্রাকচাপায় নিহত সবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাইভেটকারে থাকা দুই বোনের পরিবারের নিহত ছয়জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই দূর–দূরান্ত থেকে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী নিহতের মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে এসে বিমর্ষ হয়ে হয়ে পড়েন। দুপুরের পর নিহতদের পারিবারিক গোরস্থানে কবর দেওয়া হয়। একইদিনে নিহত অন্য আটজনকেও দাফন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কের গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় টোলের টাকা পরিশোধ করছিল একটি প্রাইভেটকার। ঠিক সেই সময়ে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা প্রাইভেটকারসহ তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারসহ অন্য তিনটি ইজিবাইক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মুহূর্তেই ঝরে যায় নারী শিশুসহ ১৪ জনের প্রাণ। সেই প্রাইভেটকারের চালকসহ সাত আরোহীর সবাই নিহত হন।
প্রাইভেটকার থাকা যাত্রীরা হলেন রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের হাসিবুর রহমান (৩৩), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮), তাদের মেয়ে তাকিয়া আক্তার (৩), তাহমিদ রহমান (০১), সোনিয়ার সদ্য বিবাহিতা বোন উপজেলার সাংগর এলাকার নিপা আক্তার (২২) ও তার স্বামী বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৩) ও প্রাইভেটকারের চালক উত্তর উত্তমপুর গ্রামের ইব্রাহিম (৩৫)।
নিহত অন্যরা হলেন গাবখানের সেলিম হাওলাদারের ছেলে নজরুল (৩৫), ওস্তাখান গ্রামের মান্নান মাঝির ছেলে শফিকুল মাঝি (৫০), ঝালকাঠির শেখের হাটের নওপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে আতিকুর রহমান সাদি (১১), কাঁঠালিয়ার তালগাছিয়ার ইব্রাহিমের মেয়ে নুরজাহান (৭), স্ত্রী তাহমিনা (২৫), রাজাপুরের উত্তর সাউথপুরের হাসিবুর রহমানের স্ত্রী সনিয়া বেগম (৩০), স্বরূপকাঠির রুহুল আমীন ও টোল প্লাজার সামনের ভিক্ষুক শহিদুল ইসলাম (৪৫)।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে একই পারিবারের চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়। অপরদিকে, প্রাইভেটকারচালক ইব্রাহিম ও নিপার জানাজা সকাল ৯টায় তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
এসআইএ