ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজিবির বিজয় দিবস উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজিবির বিজয় দিবস উদযাপন

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।  

এ উপলক্ষে বিজিবি সদর দপ্তরসহ বাহিনীর সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটগুলো বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হয়।

দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরসহ অন্যান্য সব ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।  

শনিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে বিজিবি মহাপরিচালক মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পিলখানাস্থ ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় বিজিবির একটি চৌকষ দল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেয়। বাদ যোহর বিজিবির সব মসজিদে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ৭৫’র ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী তার পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং বিজিবির উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দিবসটিতে অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারা দেশে বিজিবির বিভিন্ন স্থাপনায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয় এবং সব ইউনিটের গেট ও গেট সংলগ্ন সড়কের আশেপাশের এলাকা এবং স্থাপনাগুলোতে জাতীয় পতাকা, বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়। এছাড়া দিবসটিতে পিলখানাসহ সারা দেশে বিজিবির সকল ইউনিটে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। পিলখানায় আয়োজিত প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, আজকের দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি উল্লাসের দিন। ১৯৭১ সালের এদিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। আর এ স্বাধীনতা অর্জনে এ বাহিনীর অবদান ছিল অনবদ্য ও অবিস্মরণীয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা তৎকালীন ইপিআর এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বাংলার কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাই একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ বাহিনীর দুজন বীরশ্রেষ্ঠসহ ৮১৭ জন অকুতোভয় বীরযোদ্ধা শাহাদাত বরণ করেছিল যা এ বাহিনীর জন্য অত্যন্ত সম্মান ও গৌরবের।

এছাড়াও দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে বিজিবির উদ্যোগে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন আইসিপিতে বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জাঁকালো ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিজিবি ও বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এবং ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
এসজেএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।