ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শতবছর পুরানো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
শতবছর পুরানো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে 

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতি মন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, দেশে ঝুঁকিতে থাকা শতবছরের পুরাতন ভবন ভেঙে ফেলা হবে। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ সম্পর্কিত নতুন নীতিমালা অনুযায়ী জমির মালিককে সহজ শর্তে ও বিনা সুদে ঋণ দিয়ে নতুন ভবন করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, জাপানের মত ভূমিকম্প প্রবণ দেশে যে সব পুরোনো ভবনের নির্মাণ পদ্ধতি ঠিক ছিল না, ডিজাইন ছিল না, রড সিমেন্ট ছিল না। এ সব ভবন ভূমিকম্প সহিষ্ণু ভবনে রূপান্তর করেছে। এ জন্য তাদের সময় লেগেছে ৩০ বছর।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় আয়োজিত দুর্যোগ সহনশীল সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব  মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বি.জে মঈন উদ্দিন।

মন্ত্রী বলেন, শুধু ঢাকা নয় সারা দেশে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা ভবনের সংখ্যা অনেক। নতুন যেসব ভবন তৈরি হচ্ছে সেগুলো ভূমিকম্প সহিষ্ণু কিনা তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে দেয়া হবে। তারা এ সব ভবন পরীক্ষা করে ঝুঁকিতে থাকা ভবন গুলো সংশোধনের ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, শুধু কথা নয় মানুষের জন্য সত্যিকার অর্থে কাজ করতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতের বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে আছে। আমরা সে দিকে মনোযাগ দিয়েছি। আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আহবান করা হচ্ছে। এছাড়াও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, জাপানসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। সেখানকার প্ল্যান অব 
অ্যাকশন মোতাবেক কাজ করা হবে।

মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, সাম্প্রতি দেশে কম মাত্রার ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলো আগামীতে বড় ভূমিকম্পের অভাস দিচ্ছে। ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম ৩০ শতাংশ খুবই ঝুকিপূর্ণ। এ জন্য প্রয়োজন উচ্চ প্রযুক্তনির্ভর প্রশিক্ষিত জনবলের। ৩০ শতাংশ উদ্ধার কাজ স্থানীয় মানুষের দ্বারা হয়। আর ৪০ শতাংশ মানুষ ভূমিকম্প  নিজেরাই উদ্ধার হবে। সরকার এ জনবলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে, প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত না।  

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ৫ দিন ব্যাপী দুর্যোগ সহনশীল সপ্তাহ অনুষ্ঠানের মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তৃতীয় দিন। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। ৫দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের পাশাপাশি অংশিজনদের অভিজ্ঞতা নেওয়া হচ্ছে। এ পরামর্শের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্ল্যান অব অ্যাকশনে সম্পৃক্ত করা হবে।  

বাংলাদেশ সম ১৭০০ ঘণ্টা : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
জেডএ/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।