ঢাকা, রবিবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ জুন ২০২৪, ২৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

চাঁদাবাজি বন্ধে নির্মাণাধীন বাড়িতে পুলিশের ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’র ফেস্টুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
চাঁদাবাজি বন্ধে নির্মাণাধীন বাড়িতে পুলিশের ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’র ফেস্টুন

বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় চাঁদাবাজি বন্ধে নির্মাণাধীন বাড়িতে ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ এর ফেস্টুন সাটিয়ে দিচ্ছে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এর চারটি থানা এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়িগুলোতে এ ফেস্টুন সাটিয়ে দেওয়া হয়।

‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ ফেস্টুনের শুরুতেই লেখা রয়েছে এ বাড়ির নির্মাণ কাজ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে।

এরপর তিনটি পয়েন্টের প্রথমে লেখা আছে- বাড়িওয়ালা নিজ পছন্দমতো সুবিধাজনক জায়গা থেকে ইট, বালু, রডসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করবেন।

দ্বিতীয়তে লেখা আছে- কেউ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রির চেষ্টা করলে অথবা চাঁদা দাবি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আর সবার শেষের ধাপে লেখা রয়েছে –যে কোনো চাঁদাবাজি সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে নিম্নলিখিত নম্বর যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী কমিশনার (এসি), জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নাম্বার দেওয়া আছে।

এ বিষয়ে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা- বিপিএম (বার) বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চার থানা এলাকার নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ এর ফেস্টুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে যে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেই তাৎক্ষণিক আমাদের পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি অবগত করতে পারেন। আর আমরাও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবো।

চাঁদাবাজি বন্ধে এ ধরনের উদ্যোগ চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্মাণাধীন ভবনে বিভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজির বেশ কিছু মৌখিক অভিযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। যার প্রেক্ষিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ উদ্যোগী হয়েই এ কাজটি করছে। এরপরও যারা সতর্ক হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এদিকে নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন বালুর খোলা ও ইটের খোলা থেকে ইট-বালু কেনার জন্য বাড়ির মালিকদের বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি তাদের কেউ কেউ এলাকাভিত্তিক রড, সিমেন্ট, স্যানিটারি ফিটিংস, বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন সামগ্রীর খুচরা ব্যবসায়ী কিংবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পণ্যের গুণগত মান থাকুক বা না থাকুন সেখান থেকেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয় বাড়ির মালিকদের।

এছাড়া অসুস্থতা, পিকনিকসহ বিভিন্ন কৌশলে নির্মাণাধীন ভবন মালিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল একটি মহল। বিষয়টি জানতে পেরে প্রাথমিক সতর্কতা হিসেবে ফেস্টুন লাগানোর এ কার্যক্রম হাতে নেয় পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।