ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দুর্নীতি করে কেউ বাচঁতে পারবে না: দুদক সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
দুর্নীতি করে কেউ বাচঁতে পারবে না: দুদক সচিব কথা বলছেন দুদক সচিব  মো. মাহবুব হোসেন।

ঢাকা: সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে উল্লেখ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব  মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, দুর্নীতি করে কেউ বাচঁতে পারবে না, জনসচেতনতাই রুখবে দুর্নীতি।

বুধবার (২৩ আগস্ট) মাদারীপুরে ‘রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ’ এই স্লোগানে আয়োজিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।



দুদক সচিব বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সরকারি পরিষেবা যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এ গণশুনানিতে আরও বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ)  মো. আক্তার হোসেন, ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, মাদারীপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. মোস্তফা হাওলাদার, মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম।

গণশুনানির আয়োজন করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, মাদারীপুর। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই ওই গণশুনানির মূল উদ্দেশ্য। গণশুনানিতে মাদারীপুরের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার, সেবাপ্রত্যাশী জনসাধারণ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তাদের অভিযোগগুলো দুদকের কর্মকর্তারা শুনেছেন এবং কিছু অভিযোগের সমাধান করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তীতে কমিশনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে দুদক আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

গণশুনানিতে মাদারীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, পাসপোর্ট, বিআরটিএ, সাব-রেজিষ্টি অফিস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, সমাজসেবা অফিস, নির্বাচন অফিস, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, ব্যাংকিং বিভাগ, শিক্ষা অফিস, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভাসহ মোট ৩৮টি দপ্তরের ১০৭টি অভিযোগ পাওয়া যায়। তন্মধ্যে ৩৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ শুনানির জন্য সেবাপ্রার্থী জনসাধারণ সরাসরি উপস্থাপন করেছেন। উপস্থাপিত ৩৬টি অভিযোগের মধ্যে মাদারীপুর তিন বিষয়ে দুর্নীতির বিষয়ে কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধান করার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ১০টি অভিযোগের তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। ওই গণশুনানি মাদারীপুরের সর্বস্তরের নাগরিকদের উপস্থিতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পন্ন হয়েছে।                                                                                           
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২৩
এসএমএকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।