ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে: রাষ্ট্রপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে: রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ: ফাইল ফটো

ঢাকা: জাতীয় সংসদে প্রথিতযশা আইনজীবীদের সংখ্যা কমে আসছে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে সংসদে আইনের পরিবীক্ষণের জন্য বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের ৫০ বছরপূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে স্মারক বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

 

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, আইনসভায় প্রণীত আইনের মাধ্যমে একটি রাষ্ট্রের সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। দ্রুত পরিবর্তনশীল এ আধুনিক সমাজের কল্যাণে নতুন ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন করা জাতীয় সংসদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

প্রচলিত ধারা অনুযায়ী আইন প্রণয়নে সরকার যদিও উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করে কিন্তু সংসদের সম্মতি ব্যতীত কোনো আইন প্রণয়ন সম্ভব নয়। সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত একটি আইন প্রণয়নের বিভিন্ন পর্যায়ে একজন সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে প্রস্তাবে গুরত্বপূর্ণ সংশোধনী এনে আইন প্রণেতা হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।  

সংসদে বিল আকারে উপস্থাপিত আইন নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করলে আইনের গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে বাড়ে। সংসদ সদস্যদের এ কাজটি খুবই মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। অন্যথায় আইন পাসের পরপরই সংশোধনীর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এ উদ্যোগ গ্রহণ না করলে আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে নানামুখী প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।  

সংসদের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু। সংসদে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের সমর্থন ও মতামতের ওপর নির্ভরশীল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কার্যক্রম তদারকির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের ‘নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য’ প্রতিষ্ঠা করা সংসদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। দক্ষ ও নিবিড় তদারকির মাধ্যমে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা সংসদকে অধিক কার্যকর করে যা চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক জনকল্যাণকেও নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রেও একজন সংসদ সদস্য  ব্যক্তিগত কিংবা সমষ্টিগতভাবে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে সন্নিবেশিত বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সংসদের নিকট সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র চর্চার প্রাণকেন্দ্র জাতীয় সংসদ। সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সরকারের সকল বিভাগের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আদর্শ স্থাপনের গুরুদায়িত্ব বর্তায় এ মহান সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যদের ওপর। কেবল গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতরাই সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব এবং জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। এ বিষয়ে সরকারি ও বিরোধী উভয়পক্ষের সংসদ সদস্যরাই জাতির কাছে দায়বদ্ধ।  এ উপলব্ধি থেকে হিংসা—বিদ্বেষ, ব্যক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াসে আমি এ মহান সংসদে সংসদ সদস্যদের গঠনমূলক, কার্যকর ও সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময় ১৬৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
এসকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।