গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি নিয়ে কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান আলোচনাগুলো ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আলোচনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।
বিবিসিকে দেওয়া এক বক্তব্যে এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের সময় "সময় কেনার" কৌশল নিয়েছে এবং দোহায় এমন একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে, যাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো প্রকৃত ক্ষমতা ছিল না।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ক্ষেত্রে মূল বিরোধের বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ও মানবিক সহায়তা বিতরণ পদ্ধতি।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার আগে নেতানিয়াহু আশাবাদী সুরে বলেন, তিনি আশা করছেন "কয়েক দিনের মধ্যেই" একটি চুক্তি সম্পন্ন হবে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস ২০ জীবিত জিম্মির মধ্যে অর্ধেক এবং ৩০ মৃত জিম্মির অর্ধেকের কিছু বেশি মুক্তি দেবে, যেটি একটি ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতির আওতায় ঘটবে।
গত রবিবার থেকে কাতারের দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৮ দফা পরোক্ষ আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্র।
হামাস চায়, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সহায়তা গাজায় প্রবেশ ও বিতরণ হোক। ইসরায়েল চায়, বিতরণ হোক বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত।
ইসরায়েল প্রাথমিকভাবে গাজার ভেতরে ১ থেকে ১.৫ কিমি গভীর একটি বাফার জোনের প্রস্তাব দেয়। তবে পরে ইসরায়েল যে মানচিত্র দেয়, তাতে দেখা যায় কিছু এলাকায় বাফার জোন ৩ কিমি পর্যন্ত গভীর এবং গাজার বিস্তৃত অংশে ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখার পরিকল্পনা রয়েছে যা আগের প্রস্তাবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
শুক্রবার পর্যন্ত আলোচনার সঙ্গে জড়িত ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেন, চুক্তির ব্যাপারে গভীর মতপার্থক্যের কারণে আলোচনা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
এমএম