সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে এক গির্জায় ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন।
রবিবার (২২ জুন) দামেস্কের দুওয়েইলা অঞ্চলের মার এলিয়াস অঞ্চলে এই হামলা হয়।
বাশার আল-আসাদ ডিসেম্বর মাসে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, দামেস্কে এটিই ছিল প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলা।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলাকারী ছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সদস্য। হামলাকারী গির্জার ভেতরে প্রবেশ করে গুলি ছোড়েন এবং পরে নিজের শরীরে থাকা বিস্ফোরক ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটান।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে, জানান যে এই হামলায় মোট দুজন ব্যক্তি জড়িত ছিল, যার একজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরেক নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আসাদ পতনের পর থেকে সিরিয়ায় গির্জাগুলোর ওপর একাধিক হামলার চেষ্টা করেছে আইএস, কিন্তু এটিই প্রথম সফল হামলা।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এই বিস্ফোরণে আরও ৫২ জন আহত হয়েছে।
সিরিয়ার নাগরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘হোয়াইট হেলমেটস’-এর করা একটি লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে গির্জার ভেতরের ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখা যায়, যেখানে রক্তমাখা মেঝে, ভাঙা বেঞ্চ ও ইট-পাথরের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাআ, যিনি আসাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পর জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পর্বে ক্ষমতা গ্রহণ করেন, বারবার সংখ্যালঘুদের রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন।
গ্রিসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা দামেস্কে অবস্থিত মার এলিয়াস গ্রিক অর্থোডক্স গির্জায় সংঘটিত এই জঘন্য সন্ত্রাসী আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মীয় গোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক, যেন তারা নির্ভয়ে বসবাস করতে পারে।
ইসলামিক স্টেট এর আগেও সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালিয়েছে। ২০১৬ সালে সায়েদা জাইনাবে শিয়া তীর্থযাত্রীদের ওপর চালানো বড়সড় বোমা হামলা ছিল আসাদের শাসনামলের অন্যতম কুখ্যাত হামলার একটি।
এমএম