তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক হাসান আহমাদিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান হয়তো পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। এই চুক্তির অধীনে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অনুসন্ধান না করার অঙ্গীকার করেছিল।
ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি থাকা আর কোনো অর্থ বহন করে না বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক হাসান আহমাদিয়ান।
কাতার ভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সদস্য নয় এমন একটি দেশ, যেটি পারমাণবিক শক্তিধর (ইসরায়েল) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্রের অস্তিত্ব স্বীকার না করলেও ধারণা করা হয় তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।
অধ্যাপক আহমাদিয়ান আরও বলেন, এখন একটি এনপিটি সদস্য রাষ্ট্র, যেটি নিজেও পারমাণবিক শক্তিধর (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়ার লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ইরানের জন্য তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে এনপিটি কোনো কাজেই আসছে না। ইরান বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে পারে।
অধ্যাপক আহমাদিয়ান বলেন, ইরানি নীতিনির্ধারকরা তাদের বিকল্পগুলো নিয়ে ভাবছেন। এর একটি হলো নিশ্চিতভাবেই এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া। আরেকটি হলো ‘পারমাণবিক অস্পষ্টতা’র নীতি গ্রহণ। ”
রোববার সকালে ইস্তানবুলে এনপিটি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইরান এখনো এই চুক্তির একজন ‘প্রতিশ্রুতিশীল সদস্য’। কিন্তু এই চুক্তি ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, যদি কোনো দেশ শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে আগ্রহী হয়, তাহলে কেন তারা সেই কাজে নির্ভর করবে এমন একটি চুক্তির ওপর, যা তাদের প্রকল্পকে রক্ষা করতে পারে না?
এমজেএফ