যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির দায়ে দুইজন সাবেক কর্মকর্তাকে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন স্থানীয় আদালত। আগামী সপ্তাহে আরও এক কর্মকর্তার বিষয়ে রায় দেওয়া হবে।
গত ১৮ জুন দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব পেনসিলভানিয়ায় আদালতে এ রায় দেন বিচারক। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির নাম - নুরুল হাসান ও রফিকুল ইসলাম। তৃতীয় আসামির নাম মনসুর আলী। তারা তিনজনই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।
আসামি নুরুল হাসান মিলবোর্ন বরোর সাবেক কাউন্সিল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়রপ্রার্থী ছিলেন। গত এপ্রিলে নির্বাচন-সম্পর্কিত জালিয়াতির অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন তিনি। অন্যদিকে আরেক আসামি রফিকুল ইসলাম হলেন সাবেক কাউন্সিল সদস্য। একই মামলায় আরেক আসামি বর্তমান কাউন্সিল সদস্য মনসুর আলী, তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে ইতোমধ্যে।
ভোট জালিয়াতির অভিযোগের রায়ে আসামি নুরুল হাসানকে উদ্দেশ্য করে বিচারক হার্ভি বার্টল তৃতীয় বলেন, ‘আদালতের দৃষ্টিতে আপনার অপরাধ গুরুতর, আপনি যা করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আঘাত করেছে। ’
নুরুল হাসানকে ৩৬ মাসের কারাদণ্ড এবং এক বছরের পরিবীক্ষণ মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। অপর আসামি রফিকুল ইসলামকে এক বছর একদিন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এক বছর পরিবীক্ষণ মুক্তি এবং ১ হাজার ৭০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে তার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফেডারেল তদন্তকারীরা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন, তারা একাধিক ভুয়া ভোটার নিবন্ধন করে মেয়র নির্বাচনে নুরুল হাসানকে জেতানোর চেষ্টা করেন। হাসান, আলী ও ইসলাম মিলে বাইরের বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তাদেরকে মিলবোর্নে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করান। এরপর হাসান ও আলী সেই ভোটারদের নামে ডাকযোগে ব্যালট চেয়ে হাসানের পক্ষে ভোটসংখ্যা বাড়ান। প্রায় তিন ডজন ভুয়া ভোট জমা পড়ে এভাবে।
তবে শেষ পর্যন্ত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে কাউন্সিল সদস্য মাহবুবুল তায়েবের কাছে হেরে যান হাসান।
এপ্রিল মাসে তিনজনই সব অভিযোগ স্বীকার করেন।
ডেলাওয়্যার কাউন্টির নির্বাচনী পরিচালক জিম অ্যালেন বলেন, ‘মিলবোর্নের মতো মামলাগুলো দেশের যেকোনো জায়গায় নির্বাচনের প্রতি আস্থা দুর্বল করে। এই ঘটনায় শুধু এখানে নয়; যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র নির্বাচন ব্যবস্থার সুনাম নষ্ট হয়েছে। এটি হয়েছে একজনের অবৈধভাবে একটি পদ দখলের লোভের কারণে। ’
সূত্র: এবিসি২৭ নিউজ
এসএএইচ