ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলিরেজা তালাঈনিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার সর্বশেষ ধাপে ইরান একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যেহেতু শত্রু ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে, তাই আমরা আমাদের আক্রমণাত্মক সক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করব।
তিনি ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)–এর সফল পাল্টা হামলার প্রশংসা করে জানান, ইরান তার আধুনিক দেশীয় অস্ত্রের শক্তি দেখিয়েছে এবং এই হামলায় একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে যা ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে নিক্ষেপ করা হয়।
তিনি বলেন, এই অত্যাধুনিক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি শত্রুদের দ্বারা ধরা বা আটকানো তো দূরের কথা, শনাক্তই করা যায়নি। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে মিসাইলটি আঘাত করার আগে পর্যন্ত তারা টেরই পায়নি।
তিনি আরও জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে, যেটি বহুস্তরীয় বিমান প্রতিরক্ষা এবং মার্কিন সহায়তায় সুরক্ষিত ছিল। এটি ইসরায়েলি ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দুর্দশার প্রমাণ।
জেনারেল তালাঈনিক বলেন, আমরা যত বেশি উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করব, ইসরায়েলি শত্রুর ধৈর্য তত দ্রুত ভেঙে পড়বে। তারা একটি কৌশলগত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মত অবস্থায় নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পিঠ ভেঙে পড়বে।
তিনি ইরানি জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর আরও চমকপ্রদ সাফল্য ভবিষ্যতে প্রকাশিত হবে।
এর আগে আইআরজিসি এক বিবৃতিতে দাবি করে, তাদের অ্যারোস্পেস ফোর্স ইউনিট মঙ্গলবার ভোরে মোসাদের বিরুদ্ধে একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সুরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সামরিক গোয়েন্দা শাখা ‘আমান’ এবং তেল আবিবে অবস্থিত মোসাদের কেন্দ্র— যেখান থেকে হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হতো— এসব স্থাপনায় নিখুঁতভাবে আঘাত হানে ইরানের নতুন মিসাইল।
সূত্র: আল জাজিরা, তাসনিম নিউজ
এমএম