হামলা না থামালে ইসরায়েলকে ‘আরও কঠোর জবাব’ দেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রাখলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
রোববার (১৫ জুন) ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
টেলিফোনে আলাপকালে তিনি উল্লেখ করেন, ইরান কোনো সংঘাত শুরু করেনি, বরং দৃঢ়তার সঙ্গে ইসরায়েলি হামলার জবাব দিয়েছে।
এদিকে রোববারও নতুন করে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ তথ্য স্বীকার করে বলেছে,
ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর পর নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বাজানো হয়েছে। একইসঙ্গে, ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার রাতভর পাল্টা-পাল্টি হামলা অব্যাহত রেখেছিল ইসরায়েল ও ইরান। এতে উভয় দেশেই বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
শনিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত তেহরানে কমপক্ষে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, সামরিক বাহিনীর গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিট ছাড়াও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের একজন সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের একটি জ্বালানি কেন্দ্রেও হামলা চালানো হয়েছে, যেটি সামরিক ও পারমাণবিক - উভয় কাজে ব্যবহার হতো।
আইডিএফের দাবি অনুযায়ী, ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ শুরু হওয়ার পর গত তিন দিনে তারা ইরানের ১৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তু এবং ৭২০টি সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ