ইরানে ইসরায়েলের হামলা বিপরীত প্রভাব ফেলেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে চালানো আক্রমণ দেশটিতে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারেনি, বরং জনগণের মধ্যে ঐক্য ও একাত্মতার নতুন অধ্যায় শুরু করেছে।
তেহরানের ডিপ্লো হাউস থিঙ্ক ট্যাংকের পরিচালক হামিদ গোলামজাদে বলেন, ইসরায়েলের ইরানের জ্বালানি ও অন্যান্য স্থাপনায় হামলা দেশটির অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এতে ইরানি জনগণের মধ্যে ঐক্য বেড়েছে।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নেতানিয়াহু ইরানিদের জন্য একটি বড় উপকার করেছেন... এই হামলার ফলস্বরূপ ইরানি জনগণের মধ্যে শক্তিশালী একতা গড়ে উঠেছে। তিনি আরও যোগ করেন, দেশের ভেতরের মনোভাব এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
গোলামজাদে বলেন, সবাই বলছে এটা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ব্যাপার নয়, সরকারের বিষয় নয়, সংস্কারপন্থীদের বিষয় নয়... এটা পুরো ইরানের ব্যাপার।
গোলামজাদে উল্লেখ করেন, গত পাঁচ দশকে ইরান অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে আট বছরব্যাপী যুদ্ধের সময় ইরানের জনগণের অবস্থার সঙ্গে এখনকার অবস্থা একেবারে ভিন্ন। তখন দেশের পরিস্থিতি অনেক দুর্বল ছিল। এখন তা সম্পূর্ণ আলাদা।
ইসরায়েল শুক্রবার ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই পাল্টা হামলায় নামে ইরান। সেই থেকে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে-স্থলে চলছে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
প্রতিশোধ হিসেবে রাতভর ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলও হামলা চালায় ইরানে। এভাবেই হামলা-পাল্টা হামলায় কেটেছে আরও একটি রক্তক্ষয়ী রাত। ইরানে ইসরায়েলের হামলা এবং পরে ইরানের আক্রমণে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশজুড়ে ভয়াবহ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরএইচ