ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতের ছত্তিশগড়ে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ২৭

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৩১, মে ২১, ২০২৫
ভারতের ছত্তিশগড়ে তুমুল সংঘর্ষ, নিহত ২৭

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা মাওবাদী বিদ্রোহী বলে দাবি করেছে ভারতীয় বাহিনী।

 

বুধবার (২১ মে) ইন্ডিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

এতে বলা হয়েছে, বুধবার সকালে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার আবুঝামাদ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদী) -এর ২৭ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসভরাজু (৭০) ছিলেন বলে দাবি ভারতীয় বাহিনীর। সংঘর্ষে জেলা রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) একজন জওয়ানও নিহত হয়েছেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বস্তার রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ সুন্দররাজ পি. বলেন, ‘মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসভরাজু এবং পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির (পিএলজিএ) জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতি সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য মেলে। তথ্যের ভিত্তিতে, নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর এবং কোন্ডাগাঁও থেকে ছত্তিশগড় পুলিশের একটি যৌথ ডিআরজি দল সোমবার থেকে সীমান্তবর্তী আভুজমদের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে। ’

বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব বলেন, বুধবার ভোরে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন মাওবাদীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি চালালে সংঘর্ষ বাধে। এতে ২৭ জন মাও বিদ্রোহী নিহত হয়।

দান্তেওয়াড়া জেলার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, সংঘর্ষের পর একে-৪৭, সেলফ-লোডিং রাইফেল (এসএলআর), ইনসাস, কার্বাইন এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

নারায়ণপুরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট প্রভাত কুমার বলেন, ‘সংঘর্ষস্থল পরিদর্শনে জানা গেছে যে, এই অভিযানে আরও বেশ কয়েকজন মাওবাদী হতাহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ’

ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই বলেছেন, ‘এসব অভিযান মূলত ডিআরজি দ্বারা পরিচালিত হয়। শুরু থেকেই, আমরা তাদের (মাওবাদীদের) আত্মসমর্পণের জন্য আবেদন করে আসছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। ’

কয়েক দশক ধরে চলা মাওবাদীদের বিদ্রোহে ভারতে মাওবাদী বিদ্রোহী, সেনা এবং বেসামরিক নাগরিকসহ ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। খনিজ-সমৃদ্ধ মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ছ আদিবাসীদের অধিকারের জন্য বছরের পর বছর ধরে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে মাও বিদ্রোহীরা।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাওবাদী বিদ্রোহীদের ‘আত্মসমর্পণ’ অথবা ‘সর্বাত্মক হামলার’ মুখোমুখি হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ২০২৬ সালের মার্চের মাঝেই মাওবাদী বিদ্রোহ দমনের আশা করছে।  

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।