ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য আরো একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। যার পাল্লা ৪৫০ কিলোমিটার।
এই পরীক্ষা এমন এক সময়ে করা হল যখন পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারত গুরুতর উসকানি হিসেবে বিবেচনা করে।
এদিকে, পাকিস্তানের সম্প্রচার মন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার বলছেন, ভারতীয় নেতারা পাহেলগাম হামলাকে অজুহাত বানিয়ে পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা করছে, যা আসলে একটি ‘মিথ্যা অজুহাত’ মাত্র।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও কৌশলগত গতিশীলতা যাচাই করা।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এই পরীক্ষাকে সফল বলে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও কারিগরি দক্ষতার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
এর আগে ইন্দাস অর্থাৎ সিন্ধু নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করলে ভারতে সামরিক হামলা হবে— এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ।
শুক্রবার (২ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ভারত যদি সিন্ধু নদে কোনো ধরনের বাধ বা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে, যার ফলে পানির প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়— তাহলে আমরা অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেখাবো। ওইসব স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, এই ট্যাকটিক্যাল মিসাইলটি পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ধরনের ‘ওয়ার হেড’ বহনে সক্ষম। এর নামকরণ করা হয়েছে আহমদ শাহ আবদালির নামে, যিনি ১৮শ শতকে আধুনিক আফগানিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভারত উপমহাদেশে একাধিকবার আক্রমণ চালিয়েছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএম