কাশ্মীর হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে সীমিতভাবে শাস্তিমূলক জবাব দিতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম না করেই দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে ভারত।
সরকারি সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি (সিসিএস) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলছেন, সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে—কখন, কীভাবে, ও কোথায় আঘাত হানা হবে, তা নির্ধারণ করার জন্য তারা পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন।
ফলে এখন প্রশ্ন এটা নয় যে ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, বরং প্রশ্ন হল ‘কবে নেওয়া হবে’।
প্রতিরক্ষা সূত্রে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এক কর্মকর্তা বলেন, শাস্তিমূলক হামলার পরিকল্পনা ও স্তরভিত্তিক প্রতিক্রিয়ার কৌশল ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। এটা হঠাৎ করে নেওয়া সিদ্ধান্ত নয় বরং সুপরিকল্পিত, বাস্তবসম্মত ও নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া— একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
তবে পাকিস্তান ইতোমধ্যে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তারা সীমান্তে বাহিনী মোতায়েন করেছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে, ফলে ‘চমক’ দেওয়ার সুযোগ আর তেমন নেই। তাই তাৎক্ষণিক সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হতে পারে, পাকিস্তানের সেনাঘাঁটি ও সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলোর ওপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫৫ মিমি কামান, ১২০ মিমি মর্টার ও অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে লক্ষ্যভিত্তিক গোলাবর্ষণ।
এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত বিমান হামলার কথাও বিবেচনায় রয়েছে, যা ২০১৯ সালের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে করা বিমান হামলার মতোই কার্যকর হতে পারে।
এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, তখন আমাদের কাছে রাফায়েল জেট ছিল না। এবার লক্ষ্য হতে পারে বাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর বা মুরিদকে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটি।
এই সম্ভাব্য হামলায় ব্যবহৃত হতে পারে রাফায়েল, মিরাজ-২০০০ ও সুখোই-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান।
এগুলোর সঙ্গে থাকবে ফ্রান্সের ‘স্ক্যাল্প’ ক্রুজ মিসাইল, ইসরায়েলি ‘ক্রিস্টাল মেজ’ মিসাইল এবং ‘স্পাইস-২০০০’ নির্ভুল বোমা, যেগুলো পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
এমএম