ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

শেবা‌চিমে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
শেবা‌চিমে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি

ব‌রিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দিন দিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তে ভর্তি হয়েছেন ৯৮ জন রোগী।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চি‌কিৎসাধীন দেখা যায়। যাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৯৮ জন।

দেশব্যাপী চলমান ডেঙ্গু রোগের প্রকোপে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। একই অবস্থা বরিশালেও। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরুর পর থেকে গত ২৪ ঘণ্টাতেই হাসপাতালে এত বেশি সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে একত্রে এত রোগী চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টিও প্রথম।

হাসপাতা‌লের হিসাব অনুযায়ী, শনিবার হাসপাতালটিতে ৩৪০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ১৭৯ জন পুরুষ, ১০৮ জন মহিলা ও ৫৩ জন শিশু রয়েছে।

এর আগে এ হাসপাতালে শুক্রবার (০৯ আগস্ট) ২৭৫ জন, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) ২৫৭ জন ও বুধবার (০৭ আগস্ট) ২৩৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে এ সংখ্যা আরও কম ছিলো।  

হাসপাতা‌লের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত মোট ৯৮ জন রোগীর মধ্যে পুরুষ ৫২ জন, নারী ২৬ জন ও শিশু ২০ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিলো ৮৪।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে ৩৩ জন রোগীকে। শুক্রবার এ সংখ্যা ছিলো ৬৬।

এদিকে গত ১৬ জুলাই থে‌কে ১০ আগস্ট সকাল পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে মোট ৭০২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভ‌র্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬২ জন ও মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।

হাসপাতালের পরিচালন ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগমুহূর্তে রোগীর সংখ্যা বাড়াটা শঙ্কার। কারণ এখন মানুষ গ্রামের বাড়িতে ফিরছে আর রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। তবে আমরা আগাম সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি, চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হবে না।  

তিনি আরও বলেন, আমি বলবো ঈদে ছুটি, ডাক্তার থাকবে কি না এ চিন্তা না করে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরাসরি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের কাছে যান। আমরা সবসময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছি। কোনোভাবেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সেবা ব্যাহত হবে না।

এ চিকিৎসক বলেন, এখন পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালে ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যারা মুমূর্ষু অবস্থায় অর্থাৎ শেষ মুহূর্তে আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা বলবো, শরীরে জ্বর বা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া উচিৎ।

এদিকে হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীরা বাংলানিউজকে জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে আসার পরপরই চিকিৎসক-সেবিকারা তাদের কার্যক্রম ও সহায়তা শুরু করে দেন। কিন্তু সরকারিভাবে সব ওষুধ পাওয়া যায়না। তাই বাইরে থেকে স্যালাইনসহ অনেক কিছুই কিনতে হচ্ছে তাদের। পাশাপাশি জায়গা সংকটও রয়েছে প্রচুর, যারমধ্যে ডেঙ্গু রোগী হলে আয়া-বুয়ারা কোনো ধরনের সহায়তা করেন না।

বাংলা‌দেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।