ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩১ চৈত্র ১৪৩২, ১৫ মে ২০২৫, ১৭ জিলকদ ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী না বানানোর পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৮, নভেম্বর ২২, ২০১৬
ধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী না বানানোর পরামর্শ

কোনো ধূমপায়ীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে, সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

ঢাকা: কোনো ধূমপায়ীকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে, সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে চিঠি দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

মন্ত্রী নিজে বা তার পরিবারের কোনো সদস্য ধূমপান করেন না, এই তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে কোনো মন্ত্রীর ধূমপানের অভ্যাস থাকা অনৈতিক।

এক্ষেত্রে সব দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনের সাংহাইয়ে চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনের সাইড ইভেন্টে মঙ্গলবার ‘জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তামাক ব্যবহার বন্ধ’ বিষয়ক আলোচনায় মোহাম্মদ নাসিম এই পরামর্শ দেন। তার প্রস্তাব উত্থাপনের পর সভার মডারেটর উপস্থিত মন্ত্রীদের সম্মতি চাইলে সবাই করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান।

এর আগে, চীন সফররত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বাংলাদেশের জনগণের স্বাস্থ্যের মান উন্নয়নে তামাকসহ জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার প্রবণতা রোধ ও স্বাস্থ্য স্বাক্ষরতা বাড়াতে সহায়তা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  

চীনের সাংহাইয়ে ‘হেলথ প্রমোশন ইন দ্য এসডিজিস’ বিষয়ক নবম বৈশ্বিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনগণের জীবনমানের অগ্রগতিতে জন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্যের উপর করারোপের ভূমিকা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য নেওয়া বন্ধ করতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করছে সরকার। এ বছর থেকে ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সংবলিত সিগারেটের সচিত্র মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে বিকল্প শস্য চাষ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।  

‘জাংক ফুড’ ও অস্বাস্থ্যকর কোমল পানীয় উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের নীতিমালা প্রণয়ন করা যায় কিনা তাও বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণে জনগণকে নিরুৎসাহিত করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে, এক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৬
এমএন/এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।