ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

খসে পড়া ক্যাসিয়াস-রুনি ও নিষ্প্রভ তারকা রোনালদো!

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
খসে পড়া ক্যাসিয়াস-রুনি ও নিষ্প্রভ তারকা রোনালদো!

ময়মনসিংহ : বিশ্বকাপ ফুটবল কিংবদন্তির জন্ম দেয়। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেন অনেকে কিংবদন্তি।

নামকরা তারকাদের মধ্যে কেউ টিকে থাকেন, কেউ আবার কাঙ্খিত আলো ছড়াতে না পেরে খসে পড়েছেন। নিষ্প্রভ তারকার তকমাও পেয়েছেন আবার একজন। মহানায়ক হবার দৌড়ে তিনি জ্বলে উঠতে পারেননি।

ঘটনাবহুল ব্রাজিল বিশ্বকাপে স্পেনের ক্যাসিয়াস, ইংল্যান্ডের ওয়েন রুনি ও পর্তুগিজদের প্রাণভ্রোমরা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের নামের সঙ্গে সুবিচার করতে পারেননি। প্রথম দু’জন নিজেদের দেশকে ও ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ করে বিদায় নিয়েছেন বিশ্বকাপের ২০ তম আসরের প্রথম রাউন্ড থেকেই।

ইকার ক্যাসিয়াস : স্পেন ফুটবলের রেঁনেসার অন্যতম নায়ক ইকার ক্যাসিয়াস। ২০১০ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে স্পেনকে এনে দেন ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। এর আগে ২০০৮ সালে ও ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। স্পেনিশ ফুটবল ইতিহাসে তাঁর নাম সেই থেকে লেখা স্বর্ণাক্ষরে। টানা ১৪ বছর যাবত তিনি আগলে রেখেছিলেন স্পেনের গোলপোস্ট।


আবার তার নেতৃত্বেই পতন ঘটে স্পেনের ৬ বছরের ফুটবল রাজত্বের। ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে সুপার ফেভারিট হিসেবে খেলতে নেমে প্রথম রাউন্ড থেকে লজ্জাজনকভাবে বিদায় নেয় স্প্যানিশরা। বিশেষ করে ডাচদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৫ টি গোলের মধ্যে ৩ টি ও চিলির বিপক্ষে ২ টি গোলের অভিযোগ তীরবিদ্ধ রিয়াল মাদ্রিদের ৩৩ বছর বয়সী এ অভিজ্ঞ গোল রক্ষক।

এবারের বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করতে না পারার ব্যর্থতার দায়ে এ খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারিও হয়তো শেষ পর্যায়ে! ২০১৬ সালের ইউরো ট্রফিতে হয়তো আর খেলা হবে না ২০১০ বিশ্বকাপ জয়ী এ স্পেন কাপ্তানের।

ওয়েন রুনি : শিরোপা প্রত্যাশীদের ছড়াছড়িতে কিছুটা হলেও আলো পড়েছিল ১৯৬৬ বিশ্বকাপ জেতা ইংলিশদের গায়ে। আর এ দলটির অন্যতম নক্ষত্র ছিলেন ওয়েন রুনি। ব্রাজিল বিশ্বকাপসহ ৩ টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। বছরজুড়ে ক্লাব পর্যায়ে দুর্দান্ত খেললেও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তিনি আলো ছড়াতে পারেননি। এবারের বিশ্বকাপে ৩ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন একটি। তাঁর ব্যর্থতাতেই প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় ফুটবল জনকদের।

বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ওয়েন রুনি’র ছেলে কাইয়ের কান্নার ছবি ছাপা হয় দ্যা সান পত্রিকায়। যদি ব্যর্থতার দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়েই ক্ষমা চেয়েছেন রুনি। জাতীয় দলের হয়ে সাফল্যের স্বাদ না নিয়েই শেষ হচ্ছে ম্যানইউ’র এ বিধ্বংসী খেলোয়াড়ের খেলোয়াড়ি জীবন।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো : পর্তুগিজদের প্রথমবারের মতো শিরোপা এনে দিতে সবাই তাকিয়ে ছিলেন তাঁর দিকে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত পারেননি। হতাশ করেছেন। ২৯ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকার চলতি বিশ্বকাপের আগে দলের জার্সি গায়ে ১১০ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৪৯ টি গোল করেন। এবারের বিশ্বকাপে তিনি দলকে শিরোপো এনে দেয়ার টার্গেটে নামলেও একরাশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে তিনি ও তার দল।

চলতি বিশ্বকাপের দু’টি খেলায় এখন পর্যন্ত তিনি ঝলক দেখাতে পারেননি। নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মেসি আর্জেন্টিনাকে ইতোমধ্যেই নকআউট পর্বে নিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সেটা পারেননি এ পর্তুগাল অধিনায়ক। জার্মানীর বিপক্ষে ছিলেন সুপার ফ্লপ। গোল করতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও।

যদিও তার পাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সমতা আনে পর্তুগিজরা। বিশ্বকাপের ১২ ম্যাচ খেলে তার গোল মাত্র দু’টি।
ঘানার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জয়ী হলেও কোন লাভ নেই পর্তুগিজদের, যদি না যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি ম্যাচটা ড্র হয়ে যায়। একমাত্র ওই ম্যাচে র্জামানী জিতে গেলেই বিশ্বকাপে টিকে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ কাঁপানো এ খেলায়াড়। ফলে অনিশ্চিয়তার দোলাচলে দুলছে এ মহাতারকার দলের বিশ্বকাপ।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।