আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাচ্ছে নতুন সংস্করণের ক্লাব বিশ্বকাপ, এরপর ২০২৬ সালে বসবে সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর—বিশ্বকাপ। এই দুই টুর্নামেন্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে যে উদ্বেগ ছিল, তা দূর করতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “বিশ্ববাসী আমেরিকায় স্বাগত।
এই বক্তব্য দেন ফিফা কংগ্রেসে, যেখানে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন, যাতে বিদেশি দর্শকদের যাতায়াত, নিরাপত্তা ও ভিসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজ হয়।
“আমরা সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের টাস্কফোর্সের সঙ্গে একটি সভা করেছি ফিফা বিশ্বকাপ নিয়ে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরকার স্পষ্ট করেছে—বিশ্ববাসী আমেরিকায় স্বাগত। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, এবং অবশ্যই ফুটবলপ্রেমী—সবাই,” বলেন ইনফান্তিনো।
তবে এই মন্তব্য এসেছে এক ধরনের চাপের মুখে। ফিফা কংগ্রেসে প্রশ্ন ওঠে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি আদৌ আন্তর্জাতিক ভক্তদের জন্য সহজ হবে?
ইনফান্তিনো দাবি করেন, “এটি শুধু আমার কথা নয়, এটি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এসেছে। যারা ফুটবল উদ্যাপন করতে আসবে, তারা সবাই স্বাগত। কিন্তু যারা ঝামেলা করতে আসবে, তারা কোনো দেশেই স্বাগত নয়। ”
এই বছরের শুরুতেও ইনফান্তিনো একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতা ছাড়া এত বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন সম্ভব নয়। নিরাপত্তা, পরিবহন, ও দর্শকদের অবাধ চলাফেরার নিশ্চয়তা দিতেই এই সমন্বয় প্রয়োজন।
তবে সব কিছু নিয়ে সবার আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি ফিফাকে আহ্বান জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিরাপদ ভ্রমণের নিশ্চয়তা না দিতে পারে, তবে বিকল্প ভেন্যু বিবেচনায় রাখা উচিত।
এদিকে ফিফার হিসাব অনুযায়ী, ২০২৬ বিশ্বকাপে প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন দর্শক অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ, যেখানে প্রায় ৩.৭ মিলিয়ন দর্শক ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এই দুই টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন করা হবে কানাডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে।
এমএইচএম