আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন এখন অনেকটাই নির্ভর করছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ওপর।
প্রতিপক্ষ হংকং, যাদের বিপক্ষে আগামী ৯ ও ১৪ অক্টোবর হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
ঢাকায় শুরু হওয়া এই ক্যাম্পের প্রথম দিনই মিডিয়ার মুখোমুখি হন অধিনায়ক জামাল ভূইয়া। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ম্যাচ দুটি তাদের জন্য ‘ডু অর ডাই’।
‘আমরা জানি এই ম্যাচ না জিতলে আমাদের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যাবে। হংকং বেশ ভালো দল, তবে হোম ম্যাচে আমাদের বাড়তি সুযোগ থাকবে,’ বলেন জামাল।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সি গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে চতুর্দিক থেকে। সিঙ্গাপুর ও হংকং— দুই দলই চার পয়েন্টে শীর্ষে অবস্থান করছে।
গোল ব্যবধান সমান হলেও বেশি গোল করার সুবাদে সিঙ্গাপুর এগিয়ে। বাংলাদেশ ও ভারত রয়েছে এক পয়েন্ট করে নিয়ে নিচের দুই স্থানে।
গ্রুপের প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে ম্যাচ, তিনটি হোম ও তিনটি অ্যাওয়ে। ছয় রাউন্ড শেষে একমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়নই ২০২৬ সালের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
৯ অক্টোবর ঢাকায় হংকংয়ের বিপক্ষে যদি হারে বাংলাদেশ, তাহলে কাগজে-কলমে কিছু সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবতা বলছে, সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলা হবে অনেক কঠিন।
প্রতিপক্ষ হংকং যেখানে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এসেছে, সেখানে বাংলাদেশের ঝুলিতে আছে কেবল নেপালের বিপক্ষে একটি ম্যাচ।
জামাল চান আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ, তবে সেটি আদৌ হবে কি না, তা অনিশ্চিত। ‘নেপালের সঙ্গে দুটি ম্যাচের কথা ছিল, কিন্তু একটি হয়নি। প্রস্তুতি ম্যাচ পেলে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়তো। ’
বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচের টিকিট আধ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে, এ খবর শুনে খুশি জামাল। বলেন, ‘মানুষ এখন আগ্রহ নিয়ে খেলা দেখে, জানতে চায়। আগে এমনটা হতো না। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। ’
তবে মাঠে জামাল ভূইয়ার উপস্থিতি এখন অনিশ্চিত। কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা সাম্প্রতিক ম্যাচে তাকে মূল একাদশে রাখেননি। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই খোলামেলা উত্তর দেন জামাল। ‘আমি খেলতে চাই, আগের ম্যাচে নামতে পারিনি, খারাপ লেগেছে। তবে সিদ্ধান্ত কোচের। ’
এআর