পর্দা নেমেছে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার। দুটি বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
বালিকা বিভাগে ফাইনালে মুখোমুখি হয় ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে রাজশাহীর মেয়েরা। প্রথমার্ধেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জান্নাতুল। এরপর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে একাই দুই গোল করেন মৌসুমী। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রাজশাহী। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল শোধ করতে না পারায়, প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই শিরোপা উৎসবে মাতে রাজশাহীর মেয়েরা।
বালক বিভাগের ফাইনালে ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগ মুখোমুখি হয়। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলায় মাতেন দুই দলের খেলোয়াড়রাই। প্রথমার্ধে মোজাম্মেল হকের গোলে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ। রংপুর কিছু সুযোগ তৈরি করলেও প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধেও অধিকাংশ সময় বলের দখল ছিল ময়মনসিংহের কাছে। মেহেদী হাসানের গোলে ব্যবধান ২-০ করে নেয় তারা।
তবে ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে নাটকীয় মোড় নেয় খেলায়। রংপুরের অধিনায়ক রিয়াদ একাই জোড়া গোল করে দলকে সমতায় ফেরান।
নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-৩ ব্যবধানে জয় পায় রংপুর। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরের পর আবারও শিরোপা জিতল রংপুর বিভাগ।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব-উল-আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোস্তফা জামান।
ক্রীড়া পরিদপ্তর ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে ২০২৪ সালের জুন মাসে উপজেলার খেলা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। অংশ নিয়েছিলেন দেশের প্রায় ১,১০,২৬৪ জন খেলোয়াড়। সেখান থেকে প্রতিভাবানদের নিয়ে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা থেকে বাছাই করা হবে ৪০ জন বালক ও ৪০ জন বালিকা, যাদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। দেশ ও বিদেশে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে ভবিষ্যৎ তারকাদের।
এআর/আরইউ