দেশের ফুটবলে এখন বইছে জাগরণের হাওয়া। সম্প্রতি জাতীয় দলে প্রবাসী ফুটবলারদের অন্তর্ভুক্তি এই জাগরণে বড় ভূমিকা রেখেছে।
বর্তমানে ছেলেদের ফুটবল নিয়ে আলোচনা বেশি হলেও, দেশের ফুটবল সাফল্যের বড় বিজ্ঞাপন ছিল মেয়েদের দল। টানা দুটি সাফ শিরোপা জিতে সাবিনা-ঋতুপর্ণারা দেশের ফুটবলে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছিলেন। তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তারা।
পুরুষ দলের মতো নারী দলেও প্রবাসী ফুটবলার নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ইতিবাচক মনোভাব রাখলেও তিনি চান দেশেই ভালো ফুটবলার তৈরি হোক।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ফুটবলাররা দলের জন্য সাময়িক সাফল্যের টোটকা হতে পারে। তবে দেশের মাটিতে ফুটবলার তৈরি করতে পারলে সেই সাফল্য হয় দীর্ঘস্থায়ী। টানা দুটি সাফ জিতে এর প্রমাণ আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য আরও একধাপ ওপরে ওঠা। দক্ষিণ এশিয়া নয়, এবার পুরো এশিয়ায় নিজেদের প্রমাণ করার সময় এসেছে। ’
প্রবাসী নারী ফুটবলারদের বিষয়ে কিরণ জানান, ‘এই বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। একজন নারী ফুটবলারকে নিয়ে একবার আলোচনা হয়েছিলও। তবে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি এখনো এগোয়নি। জামাল ভূঁইয়া সেই ফুটবলারের ব্যাপারে বলেছিলেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসী ফুটবলারদের দলে নেওয়া নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। তারাও বাংলাদেশি। তবে আমি বিশ্বাস করি, যারা দেশেই আছে, তাদের মধ্য থেকেই ভালো ফুটবলার তৈরি করে যদি পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে উপকার বয়ে আনবে। ’
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে আধিপত্য করে খেলছে বাংলাদেশের নারী দল। বয়সভিত্তিক প্রতিটি টুর্নামেন্টেই শিরোপা নিজেদের দখলে রেখেছে তারা। আগামী মাসে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ। যদিও শেষ মুহূর্তে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত।
এ বিষয়ে কিরণ বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রতিটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন হই। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে এবং লড়াই করে জিততে পছন্দ করি। এতে আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে, তেমনি বোঝা যায় দলটি আসলে কোন অবস্থানে আছে। ভারত শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করেছে, এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আমরা খেলব। তবে আমরা ভারতকে মাঠে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি চাই না দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেয়ে ট্রফি জিততে। আমি চাই শক্ত প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে। তাতেই আসল আনন্দ। ভারত না এলেও আমি বিশ্বাস করি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হবে। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান আছে। তারা ভালো দল। আমরা মাঠে নামব জয়ের জন্য এবং ইন শা আল্লাহ শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়ব। ’
এআর/আরইউ