নারী ফুটবলারদের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চলমান দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। সম্প্রতি বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত ১৮ জন নারী ফুটবলার বাফুফের সঙ্গে ছয় মাস মেয়াদি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এর ফলে চুক্তিবদ্ধ নারী ফুটবলারের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম দফায় ৩৬ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে এই মেয়াদি চুক্তি করেছিল দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, “বাকি থাকা ১৮ জন খেলোয়াড় গত সপ্তাহে ছয় মাসের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির মেয়াদ স্বাক্ষরের তারিখ থেকেই কার্যকর হয়েছে। ”
বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারের মধ্যে বর্তমানে ৮ জন কোচ পিটার বাটলারের অধীনে ঢাকায় চলমান ক্যাম্পে অনুশীলন করছেন। বাকি ১০ জন বর্তমানে খেলছেন ভুটানের নারী ফুটবল লিগে। তারা হলেন—সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া ম্যানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাতসুশিমা সুমাইয়া।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের পদ্ধতি সম্পর্কে কিরণ বলেন, “ভুটানে থাকা খেলোয়াড়দের অনলাইনে চুক্তির কাগজ পাঠানো হয়েছিল। তারা স্বাক্ষর করে তা স্ক্যান করে ফেরত পাঠিয়েছে। ”
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে তার অধীনে অনুশীলনে অস্বীকৃতি জানান এই ১৮ জন নারী ফুটবলার। সেসময় তারা ছিলেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা ৫৫ জনের অংশ। তাদের অনড় অবস্থানের ফলে বাফুফে সেই সময় ৩৬ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে।
এই সংকটের অবসান ঘটে মার্চের শেষদিকে, যখন ঈদের ছুটি শেষে বিদ্রোহীরা বাটলারের অধীনে পুনরায় অনুশীলনে ফিরতে সম্মত হন।
এখন সামনে রয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। আগামী ৩১ মে তারা মুখোমুখি হবে জর্ডানের, এরপর ৩ জুন খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে।
এআর/এমএইচএম