ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৯ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার। ১৫ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫২৮- মোঘল সম্রাট বাবর চান্দেরি দুর্গ দখল করেন।
১৮২০- সম্রাট চতুর্থ জর্জ ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৯২১- হোসেন বিন আলী শরীফ মক্কার পুত্র বাদশাহ প্রথম ফয়সলকে ইংরেজরা ইরাকের বাদশাহ হিসেবে মনোনীত করে।
১৯৭৯- চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী দেন জিয়াও পিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ যুক্তির মাধ্যমে চীনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের বৈরিতার অবসান ঘটে।
১৯৯২- ভারত-ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন।
১৯৯৬- ভেনিসের লা ফেনিস অপেরা হাউস আগুনে পুড়ে যায়।
২০১৫- মালয়েশিয়া দাফতরিকভাবে ফ্লাইট ‘এমএইচ৩৭০ নিখোঁজকে’ দুর্ঘটনা হিসেবে ঘোষণা করে এবং এর সব যাত্রী ও ক্রুকে মৃত ঘোষণা করে।

জন্ম
১৮৪৩- যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম ম্যাকিন্‌লি।
১৮৬০- রুশ চিকিৎসক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার আন্তন পাভলোভিচ চেখভ।
১৯৫৪- মার্কিন টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ওপ্‌রাহ উইন্‌ফ্রে।
১৮৯০- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক ও সাহিত্যিক ড. সুশীল কুমার দে।

মৃত্যু
১৮৮৯- রুশ বিপ্লবী ও সমাজতান্ত্রিক নেতা ওসিপ জেটকিন।
১৯৭৬- বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।

রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের পরে সাহিত্য জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী কল্লোল যুগের লেখকদের মধ্য তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী শহরে তার জন্ম। ১৯১৬ সালে তিনি কোলকাতা চলে যান ও উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে প্রবাসী পত্রিকায় নীহারিকা দেবী ছদ্মনামে অচিন্ত্যকুমারের প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। তিনি উপন্যাস ও ছোটগল্প রচনায় বিশেষ কৃতিত্ব দেখান। তার প্রথম উপন্যাস ‘বেদে’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট উপন্যাস। বিচারবিভাগে চাকরির বদৌলতে তিনি বাংলাদেশের নানা স্থানে ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সংস্পর্শে আসেন। এসব কাহিনী অচিন্ত্যকুমার তার ছোট গল্পগুলোতে নিপুণভাবে এঁকেছেন। তার স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘কল্লোল যুগ’ পাঠকমহলে বেশ সাড়া জাগায়। সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জগৎতারিণী পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার ও শরৎচন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।

অচিন্ত্যকুমারের গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় সত্তর। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- উপন্যাস: কাকজ্যোৎস্না (১৯৩১), বিবাহের চেয়ে বড় (১৯৩১), প্রাচীর ও প্রান্তর (১৯৩২), প্রথম কদমফুল (১৯৬১); কাব্যগ্রন্থ: অমাবস্যা (১৯৩০), আমরা (১৯৩২), প্রিয়া ও পৃথিবী (১৯৩৩), নীল আকাশ (১৯৪৯), পূর্ব-পশ্চিম (১৯৬৯), উত্তরায়ণ (১৯৭৪); জীবনীগ্রন্থ: পরম পুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ (চার খণ্ড, ১৯৫১-৫৬), বীরেশ্বর বিবেকানন্দ (তিন খণ্ড, ১৯৫৮-৬৯); নাটক: একাঙ্ক নাট্য-সংকলন (১৯৪৫); গল্পগ্রন্থ: টুটাফুটা (১৯২৮), কাঠ-খড় কেরোসিন (১৯৪৫), চাষাভূষা (১৯৪৭), একরাত্রি (১৯৬১) ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।