ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-রাজ্জাকের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-রাজ্জাকের জন্ম

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৩ জানুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার। ০৯ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা 
১৯৫০- ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেট জেরুজালেমকে দেশটির রাজধানী ঘোষণা।
১৯৬৭- সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আইভরি কোস্টের মধ্যেকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন।
১৯৯৭- যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হিসেবে মেডেলিন অলব্রাইট পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত হন।
২০০২- পাকিস্তানের করাচিতে সাংবাদিক ড্যানিয়েল পার্ল অপহৃত হন এবং পরে নিহত হন।

জন্ম
১৮২৩- শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক এবং ১৯ শতকের বাংলা পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা প্যারীচরণ সরকার।
১৮৬২- জার্মান গণিতবিদ ডেভিড হিলবার্ট।
১৮৯৭- ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

সুভাষচন্দ্র পরপর দু’বার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তার ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈতিক দল ছিল। সেসময় তিনি ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জানান। এর জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে এগারো বার কারারুদ্ধ করে। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে সুভাষচন্দ্র ভারত ত্যাগ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি ও জাপান ভ্রমণ করেন। ভ্রমণের লক্ষ্য ছিলো ভারতে ব্রিটিশদের আক্রমণ করার জন্য দেশগুলোর সহযোগিতা লাভ। জাপানের সহযোগিতায় তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ পুনর্গঠন করেন এবং পরে তার নেতৃত্ব দেন। এ বাহিনীর সৈনিকরা ছিলেন মূলত ভারতীয় যুদ্ধবন্দী এবং ব্রিটিশ মালয়, সিঙ্গাপুরসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে কর্মরত মজুর। জাপানের আর্থিক, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তায় তিনি নির্বাসিত আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠা করেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্বদান করে ব্রিটিশ মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে ইম্ফল ও ব্রহ্মদেশে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।

১৮৯৮- সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক সের্গে আইজেনস্টাইন।
১৯৪২- প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক রাজ্জাক।

তিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত। ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ কোলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে ‘ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে রাজ্জাকের অভিষেক ঘটে। তিনি জহির রায়হান পরিচালিত বেহুলা চলচ্চিত্রে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন। সত্তরের দশকে তাকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হত। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে রাজ্জাক ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৪৭- ইন্দোনেশিয়ার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট মেঘবতী সুকর্ণপুত্রি।
১৯৫২- দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ওমর হেনরি।
১৯৭১- নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার অ্যাডাম প্যারোরে।
১৯৭৭- পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী কমল হির।

মৃত্যু
১৯০৯- বাংলাদেশি কবি নবীনচন্দ্র সেন।
১৯৫৮- মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এডনা পারভায়েন্স। পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী হিসেবে তিনি বিখ্যাত।
১৯৮৯- স্প্যানিশ চিত্রকর সালভাদর দালি।
২০১২- বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা অমল বোস।

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।