ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

‘একতারার বেহালায়’ সুর তুলছেন ২০ বছর

ইসমাইল হোসেন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
‘একতারার বেহালায়’ সুর তুলছেন ২০ বছর একতারা বেহালায় সুর তুলছেন আজিজুর

ঢাকা: একতারা-দোতারা বাঙালির আদি সুরের কলতান। আজকাল এসব বাদ্যের সুর শোনাই দায়। কিন্তু পঞ্চাশোর্ধ আজিজুর রহমান অদম্য। একতারা দিয়ে তিনি বানিয়েছেন বেহালা। তাতে নিয়মিত তুলছেন সুর। মাঝে মধ্যে গাইছেনও।

আর আজিজুরের অভিনব সেই একতারা-বেহালায় বাংলা গানের সুরে নগরের রাস্তায় জটলা করে মোহিত সবাই।

সুতোয় তৈরি ধনুক আকৃতির ছিলা দিয়ে সরল একতারার সুতোয় কায়দা করে ঘষা দিচ্ছেন আজিজুর।

আর তাতেই বেজে উঠছে সুর। কখনওবা নিজ গলা ছেড়ে গাইছেন দেশীয় গান।

পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে হোসেনি দালান এলাকায় আশুরার দিনে হাজারো মানুষের উপস্থিতি ছিল মঙ্গলবার সকালে। মানুষের জমায়েতে ছোটখাট মেলাই বসেছিল। মেলায় মিষ্টান্নসহ হরেক পণ্যের সমাহার। শিশু-কিশোরদের আকৃষ্ট করতে রকমারি পণ্য বিক্রেতাদেরও কমতি ছিল না।

শেরপুরের আজিজুর রহমান আশুরার এই দিনে শিশু-কিশোরদের জন্যই মূলত নিয়ে এসেছেন একতারার বেহালা।

বলছিলেন, আমার বাড়ি শেরপুর, নালিতাবাড়ি।

একতারা-বেহালা নিজে তৈরি করেন? ‘জ্বি চাচা। অন্তত মনে করেন ২০ বছরের কম না আরকি। এটা বাজিয়ে নিজেই চেষ্টা করে শিখতে হবে।

আলাপচারিতার মধ্যে ঘিরে থাকা শিশুদের মধ্যে একটি-দু’টি বিক্রিও করছেন। এই আয় দিয়ে সংসার চালান আজিজুর।

আপনি কী করে শিখলেন? আমি আগে দোতারা বাজাইতাম। অনেক দিন আগে, একদিন দেখলাম এক লোক এগুলি বেচতেছে। হের কাছে কিনে নিয়ে কিছুদিন বাজাইয়া পরে আমি এটার বাজনা পেয়ে গেছি। অন্য কারো কাছে শেখা হয়নি চাচা। নিজে নিজে শিখছি। দোতারা যারা বাজায় তাদের কাছে এটা বেশি একটা ব্যাপার না।

'আগে গৃহস্থালির কাজ করতাম। এই মহরম উপলক্ষে এগুলো বেচতে কিছু দিন আগে ঢাকায় আসছি। একটার দাম চল্লিশ টাকা থেকে পঞ্চাশ টাকা। '

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।