ঢাকা, সোমবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ জুলাই ২০২৫, ২৫ মহররম ১৪৪৭

ফিচার

ইতিহাসে প্রথমবারের মত চাঁদের মাটিতে পা রাখে মানুষ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:১৪, জুলাই ২০, ২০২৫
ইতিহাসে প্রথমবারের মত চাঁদের মাটিতে পা রাখে মানুষ

১৯৬৯ – মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক অসাধারণ অর্জন ঘটে ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই । এদিন অ্যাপোলো ১১ অভিযানে নীল আর্মস্ট্রং ও বাজ অ্যালড্রিন প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেন।

এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) পরিচালিত একটি ঐতিহাসিক মহাকাশ মিশন।

১৯৭৬ – মানব ইতিহাসে আরেকটি মহাকাশ জয় ঘটে ১৯৭৬ সালের ২০ জুলাই, এইবার চাঁদ নয়, মঙ্গল গ্রহ। এদিন মার্কিন ভাইকিং ১ রোবোটিক মিশন মঙ্গলের “ক্রিস প্ল্যানাইটিয়া”তে সফলভাবে অবতরণ করে।  নাসার পরিচালনায় এটি ছিল প্রথম সফলভাবে মঙ্গলের মাটিতে নামা এবং দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় থাকা রোবোটিক যান। ভাইকিং ১ ও ভাইকিং ২ দুটি অংশে ভাগ ছিল। প্রত্যেকেই ছিল একটি অরবিটার  (কক্ষপথে ঘোরে) ও একটি ল্যান্ডার (গ্রহের পৃষ্ঠে নামে)। এটি প্রথম স্বচ্ছ ও রঙিন ছবি পাঠায় মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে। এই মিশন থেকেই প্রথমবার আমরা জানতে পারি মঙ্গলের আকাশ কমলা-লালচে এবং এর ভূমি শুষ্ক ও পাথুরে।

১৯৭৪ – গ্রিক ও তুর্কি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করছিল। কিন্তু ১৯৫০-এর দশক থেকে গ্রিক-সাইপ্রিয়টরা চাইছিল সাইপ্রাসকে গ্রিসের সঙ্গে সংযুক্ত করতে। অন্যদিকে, তুর্কি-সাইপ্রিয়টরা চাইছিল দ্বীপের বিভাজন। ১৯৭৪ সালের ১৫ জুলাই গ্রিস-সমর্থিত এক সামরিক অভ্যুত্থান হয় সাইপ্রাসে। প্রেসিডেন্ট আর্চবিশপ মাকারিওসকে হটিয়ে “এনোসিস” সমর্থক নিকোস সাম্পসন ক্ষমতা দখল করেন। তুরস্ক তা দেখে সাইপ্রাসে বসবাসরত তুর্কি সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিজেদের কৌশলগত স্বার্থে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। ২০ জুলাই ১৯৭৪, তুর্কি বাহিনী “অপারেশন আটিলা” নামে কায়রেনিয়া শহরের কাছে সৈন্য অবতরণ করে। এতে অংশ নেয় প্রায় ৩ হাজার প্যারাট্রুপার, ৩০০ এর বেশি যুদ্ধজাহাজ ও ল্যান্ডিং ক্রাফট, হাজার হাজার সৈনিক। সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চল তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় (৩৭% এলাকা)। তুর্কি সাইপ্রিয়টরা উত্তর অংশে চলে যায়, গ্রিকরা দক্ষিণে—ভূগোল ও জনসংখ্যা বদলে যায়। ১৯৮৩ সালে “তুর্কি প্রজাতন্ত্রী উত্তর সাইপ্রাস” ঘোষণা করা হয়, যেটি কেবল তুরস্ক ছাড়া আর কেউ স্বীকৃতি দেয়নি।

১৯৪৪ – নাৎসি জার্মানির ইতিহাসে একটি অন্যতম নাটকীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই। অ্যাডলফ হিটলারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানমূলক হত্যা প্রচেষ্টা, যা ইতিহাসে পরিচিত “২০ জুলাই প্লট” বা “অপারেশন ভাল্কিরি” নামে। ঘটনার স্থান: “ওল্ফ্‌স লেয়ার” রাস্তেনবুর্গ, পূর্ব প্রুশিয়া (বর্তমানে পোল্যান্ড)। অ্যাডলফ হিটলারকে হত্যা করে নাৎসি সরকার উৎখাত ও জার্মানিতে একটি সামরিক-গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। জার্মান সেনাবাহিনীর কর্নেল ক্লাউস ভন স্তাউফেনবার্গ হিটলারের ঘরোয়া মিটিংয়ের মধ্যে একটি টাইম-বোমা ভর্তি ব্রিফকেস রেখে বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বিস্ফোরণ ঘটে। ৪ জন নিহত হয়, কিন্তু হিটলার অলৌকিকভাবে বেঁচে যান – কারণ একজন কর্মকর্তার পা দিয়ে ব্রিফকেসটি দূরে সরিয়ে ছিলেন এবং টেবিলটি ছিল মোটা কাঠের। ক্লাউস ভন স্তাউফেনবার্গ ছিলেন প্রাক্তন রণক্ষেত্র-কর্মকর্তা, যিনি হিটলারের নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।