আমাদের সমাজে কত ধরনের প্রেমের রসদ রয়েছে। প্রেমলীলা তেমনই একটি রসদের গল্প।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, জয়নাল একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি। এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। সামির যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো, তখন নিধি নামে একটি মেয়ে তাকে খুব পছন্দ করতো। কিন্তু সামির কখনও ফিরেও তাকায়নি। সামির তার মায়ের পছন্দ মতোই বিয়ে করবে মনে মনে ভাবতো।
নিধি হঠাৎ একদিন সামিরের বাসায় এসে হাজির। বাবা জয়নাল সাহেব নিধিকে খুব ভালো করে দেখছেন কিন্তু ছেলের বউ হিসেবে নাকি অন্যকিছু সেটা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সামিরের বিয়ের জন্য পাত্রি হিসাবে ঠিক করে ফেললো সামিরের মা রাখি। সামির বাসায় আসতেই নিধির কথা বলতেই আৎকে উঠে সে।
কৌশলে নিধির নাম্বার নিয়ে নেয় জয়নাল সে সামির কণ্ঠ নকল করে নিধির সঙ্গে কথা বলে। নিধি বুঝতেই পারল না এটা সামিরের কণ্ঠ না। জয়নালের মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে নিধির বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নতুন করে প্রেম জেগে উঠে। একদিন নিধি ফেইবুক চ্যাটে বসে সামিরকে বলে জন্মদিনে বাসায় যাবার জন্য।
কলিংবেলের শব্দে দৌঁড়ে দরজা খুলে নিধি। সে সামিরের বাবাকে দেখে হতভম্ব। নিধিকে কিছু বলার আগেই সেই মুহূর্তেই শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে হাজির হয় সামির। এমনই রহস্যময় গল্পে এগিয়ে যাবে ‘প্রেমলীলা’ নাটকের দৃশ্য।
এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিবলী নওমান, সুমাইয়া অর্পা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সাইকা আহমেদ, ফরিদ হোসাইন, সুব্রত চক্রবতীসহ অনেকেই।
পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলের, একদিকে যেমন প্রেম মানুষকে অন্ধ করে, অন্যদিকে প্রেম অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষকে জাগ্রতও করে। প্রেমের শক্তি অসীম। এই অসীম শক্তি সবার থাকে না। প্রেমলীলায় সেই প্রেমেরই গল্প বলা হয়েছে।
নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, অনেক সময় পছন্দের মানুষকে নিজের মনের কথা বলতে না পারাও একটা ব্যর্থতা। তখন প্রয়োজন অন্যের সহযোগিতা। ছেলের জীবন সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে বাবাও যেন ক্লান্ত। তাই ছেলের হয়ে পাত্রী খোঁজার দায়িত্ব বাবা নিজ কাঁধে তুলে নেয়। এমন একটি গল্পই দেখা যাবে নাটকটিতে।
নির্মাতা সূত্রে জানা যায়, ‘প্রেমলীলা’ নাটকটি শিগগিরই একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হবে।
এনএটি