ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা ভোটে অনিয়ম: ফেঁসে যেতে পারেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাও

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
গাইবান্ধা ভোটে অনিয়ম: ফেঁসে যেতে পারেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাও

ঢাকা: ‘ব্যাপক অনিয়ম’ ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বে ‘অবহেলার’ কারণে বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনারদের টেবিলে পৌঁছেছে। প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তেই অটল কমিশনাররা।

এ কারণে ফেঁসে যেতে পারেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তারাও!

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে বন্ধ ঘোষিত ৫১টি কেন্দ্র তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এরপর বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটে প্রায় সব কেন্দ্রেই অনিয়ম হয়েছে। যেখানে প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা থেকেছেন নির্লিপ্ত। ফলে কেন্দ্রের গোপন বুথে অবাঞ্ছিত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন।

গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া ওই নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নির্বাচন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যরাও পর্যবেক্ষণ করেছেন। এতে দেখা যায়, ৫০টি কেন্দ্রে অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। পরে কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে এ নির্বাচনের কোনো যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ঘটনার পর ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। কমিটি ভোটের এলাকায় ৮৬৫ জনের শুনানি করে ৫১ কেন্দ্রের প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর কমিশন বাকি ৯৪ কেন্দ্রের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেয়। সে মোতাবেক ১৪৫ কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন এখন ইসির টেবিলে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, ৫০টি কেন্দ্রের অনিয়ম আমরা নিজেদের চোখেই দেখেছি। এছাড়া ৯৪ কেন্দ্রের মধ্যেও কিছু কিছু কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। পুরো প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি আরও বলেন, আমরা যে ভোট বন্ধ করেছি, প্রিজাইডিং কর্মকর্তারও কিন্তু সেই ক্ষমতা আছে। কাজটি কিন্তু তাদের ওখান থেকেই করা উচিত ছিল।

এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন এখনও পর্যালোচনা করা হয়নি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন এখনও আমরা পর্যালোচনা করিনি। পুরো প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যা করার তাই করা হবে। কেউ অপরাধ করেছে বলে প্রতীয়মান হলে, তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। দুই-একদিনের মধ্যে এটা নিয়ে কমিশনে বসব। আশা করছি আগামী সপ্তাহে বিস্তারিত জানাতে পারব। ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তি দৃষ্টান্তমূলক হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ইইউডি/এমএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।