ঢাকা: জাতীয় পার্টিসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলোর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল।
সোমবার (১২ মে) দলটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হাসান আল মামুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১০ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইভাবে, তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর চালানো গণহত্যাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ যে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে, তার অন্যতম সহযোগী ও বৈধতা প্রদানকারী হিসেবে সক্রিয় ছিল জাতীয় পার্টিসহ জোটভুক্ত অন্যান্য দল। বিগত তিনটি একতরফা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে ১৪ দল এবং জাতীয় পার্টি।
তিনি আরও বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরপর তিনটি নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা, গুম, ক্রসফায়ার, আয়নাঘরে নির্যাতন, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিবেশী দেশের হাতে তুলে দেওয়া, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ ধ্বংস করা-এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যে দুঃশাসন চালিয়েছে, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের মৌলিক মানবাধিকার হরণ করেছে।
তাই তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটসঙ্গী প্রতিটি দল গণহত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত। এসব দলের নিবন্ধন বাতিল করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।
ইইউডি/এসআইএস