ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোটার এক উপজেলার, ভোট দিতে এসেছেন অন্য উপজেলায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
ভোটার এক উপজেলার, ভোট দিতে এসেছেন অন্য উপজেলায় ...

ফেনী: রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সোনাগাজীর ৯ ইউপির ৯১টি কেন্দ্রে একসঙ্গে ভোটগ্রহণ করা হয়। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনভর আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে বহিরাগতদের।

রাত ১২টা পর্যন্ত প্রশাসনের অভিযানে ৩০ জন বহিরাগতকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।

তাদের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানিয়েছেন, তার বাড়ি ফুলগাজীর জিএমহাটে। ওই ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন রতনের নির্দেশেই তিনি সোনাগাজীতে এসেছেন ভোট দিতে।

তিনি জানান, তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্যই সোনাগাজীতে আনা হয়েছে। তারা সকলে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট করার জন্য বাইরে থেকে আনা হয়েছে।

জানা যায়, শনিবার উপজেলার চরদরবেশ এলাকায় চরসাহা ভিকারীতে পাঁচ জন বহিরাগতকে ঘুরাফেরা করতে দেখে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিখন বনিকের কাছে সোপর্দ করলে তিনি বিজিবি সদস্যদের নিয়ে তাদের আটক করেন। পরে সদর ইউনিয়ন থেকে ১২ জন এবং নবিউল্যাহর দোকান এলাকা থেকে আরও ৮ জনকে আটক করা হয়।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে রয়েছে ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোটকেন্দ্রগুলোতে নির্বাচন পরিচালনার যাবতীয় সামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ব্যালট পাঠানো হয় কেন্দ্রগুলোতে। নির্বাচনে শৃঙ্খলা রক্ষায় ৬২৬ পুলিশ, ১০৪ জন বিজিবি সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবেন র‍্যাব সদস্যরা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস তথ্যমতে, উপজেলার ইউনিয়নগুলোত মোট ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ছয় হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৮২১ জন। মহিলা ভোটার এক লাখ ১ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার রয়েছেন প্রায় ১০ হাজার।

নির্বাচনে ৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৮ জন। বাকি দুই ইউনিয়নে (মতিগঞ্জ -মঙ্গলকান্দি) কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নৌকা প্রতীক প্রার্থী রবিউজ্জামান বাবু ও মোশারফ হোসেন বাদলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ৮১টি ওয়ার্ডে মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫২২ জন প্রার্থী। একটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় মেম্বার পদে একজনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
 
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ কারণে সবকয়টি কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম জহিরুল হায়াত জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আচরণবিধি প্রতিপালনে আট জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
এসএইচডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।