ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

অনশনে শিক্ষার্থীরা, উত্তাল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
অনশনে শিক্ষার্থীরা, উত্তাল রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

সিরাজগঞ্জ: ১৪ ছাত্রের চুল কাটার ঘটনায় শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। ভবনগুলোতে তালা দিয়ে বাইরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

দুদিন ধরে আমরন অনশনেও রয়েছে বেশ কজন শিক্ষার্থী।  

রোববার (২৪ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে বাইরে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন।  

এর আগে শুক্রবার (২২ অক্টোবর) গভীর রাত থেকেই আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করে বেশ কজন শিক্ষার্থী। এখন পর্যন্তও তারা অনশনে রয়েছে। ইতোমধ্যে সব বিভাগের ছাত্ররা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন।  

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মূখপাত্র শামীম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমাদের ন্যায় বিচার ভুলুণ্ঠিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপন করছে। সিদ্ধান্ত ছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষ করা হয়েছে। আবার কবে সভা বসবে তা নিশ্চিত নয়। বাধ্য হয়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে নেমেছি। আজ দুপুরের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে পারে।  

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার (উপাচার্য’র অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল লতিফ জানান, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। রেজিস্ট্রার সাহেব ঢাকায় ছিলেন। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসছেন। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলবেন।  

জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারি প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। অপমান সহ্য করতে না পেরে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তাল ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। ওইদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন।  

ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলতেই থাকে। একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সিন্ডিকেট সভায় ওই প্রতিবেদনের আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেট সভা শেষ হওয়ায় রাতেই ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।  
  
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।