ঢাকা, শনিবার, ২ কার্তিক ১৪৩২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৩, অক্টোবর ১৭, ২০২৫
স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন

খুলনা: স্বতন্ত্র ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) এবং স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ খুলনা অঞ্চল কমিটির নেতারা।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র এবং অঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক মো. কামরুজ্জামান।

মতবিনিময় সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, খুলনা অঞ্চল, খুলনার উপপরিচালক মো.কামরুজ্জামান বলেন- সরকার স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা লক্ষ লক্ষ শিক্ষক, কোটি কোটি শিক্ষার্থী, কোটি অভিভাবকসহ দেশের সচেতন মহলের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। যা মাধ্যমিকের ইতিহাসে এক মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. লুৎফর রহমান, খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইদুর রহমান, খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবুল খায়ের, কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষক অফিসার আবু তৈয়ব মো. ইউনুস আলী, মেহেরপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রহিম, নড়াইলের জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন, বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষক নেতা গাজী আজিজুর রহমান, রেজাউল করিম, মলয় কান্তি গাইন প্রমূখ।

তারা বলেন, সরকারের এই সময়োপযোগী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও সুসংগঠিত ও দক্ষ করে তুলবে।

বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র এবং অঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন - ২০০৩ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিয়া কমিশনের সুপারিশ, পরবর্তী সময়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প ও গবেষণা প্রতিবেদনে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ও ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ পৃথকভাবে গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলে, সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে অধিদপ্তর আলাদা করার প্রস্তাবনা পাঠালে প্রধান উপদেষ্টা তাতে সম্মতি দেন। সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দুটি পৃথক অধিদপ্তর—‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ও ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর' এর অর্গানোগ্রাম চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে। চিঠিতে ৩০ কার্য দিবস এর মধ্যে অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটিকে দুটি পৃথক অর্গানোগ্রাম জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। আশা করি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অধিদপ্তরের গেজেট জারি হবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির খুলনা অঞ্চলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) আইয়ুব হোসেন, সমিতির সাবেক অর্থ সম্পাদক ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য (অর্থ) মাসুম বিল্লাহ, সদস্য মামুনুর রশিদ, স্কাউটার ও খুলনা জেলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, খুলনা জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব অপূর্ব সরকার, অঞ্চল কমিটির সদস্য নিখিলেশ, সহকারী শিক্ষক মিল্টন, অলীক রপ্তান সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কর্মকর্তাগণ ও শিক্ষক নেতারা।

 

এমআরএম

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।