ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ‘মাদকসেবী’, ‘ভবঘুরে’ ও ভাসমান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও এস্টেট অফিস। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়েরের সমন্বয়ে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান শুরু হয়। এ সময় উদ্বাস্তু এসব ব্যক্তির কাছে মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রসহ একাধিক বস্তু পাওয়া যায়।
অভিযানটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মেট্রোরেল স্টেশনের নিচ থেকে শুরু হয়। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের অভিযানের বিষয়ে জানান সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি ক্যাম্পাস যেখানে মাদকসেবী, ভবঘুরে ও পাগলদের অভয়ারণ্য হয়ে গেছে। আমাদের অঙ্গীকার ছিল ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা। সে তাড়না থেকে প্রক্টরিয়াল টিমের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। ক্যাম্পাসে মাদকসেবী, মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী ও ভবঘুরেরা যারা আছে, তাদেরকে ক্যাম্পাস থেকে উচ্ছেদ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করার লক্ষ্যেই এই অভিযান।
তিনি বলেন, অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা শুরু থেকেই কিছু উদ্বেগজনক জিনিস পেয়েছি। এর মধ্যে টাকা দিয়ে পেছনে বানানো (পেছনে নেওয়ার) মাদক, ইয়াবা, ডেন্ডি পেয়েছি। ড্রাগ নেওয়ার জন্য সিরিঞ্জও পেয়েছি। নাম না জানা অনেক কিছু মিলেছে। বিভিন্ন ছুরি, কাঁচি, ব্লেডসহ ধারালো জিনিসও পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এখানে মাদক সেবন করে এবং ব্যবসাও করে। সন্ধ্যার পর ছিনতাই হয়। আমরা বিভিন্ন যৌনপল্লীর কার্ড পেয়েছি, অমুক ভাই, তমুক ভাই নামে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে এসব লোক যদি আস্তানা গড়ে তোলে, এটা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। একটি জায়গায় আমরা কিছু টাকা ও বেশ কিছু চেক পেয়েছি। এগুলো আমরা নিয়ে এসেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে হস্তান্তর করব।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে টেকসই ও নিরাপদ করা আমাদের অঙ্গীকার। আমরা অবিলম্বে প্রত্যেক প্রবেশপথে সিকিউরিটি ফোর্স রাখব, যাতে এসব লোক ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে। এটা যেহেতু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, সে কারণেই আমরা আজ অভিযান পরিচালনা করেছি। পুরো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও এস্টেট টিম ছিল, আমরা সঙ্গে ছিলাম।
এফএইচ/এমজে