ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

ছাড়ের ছড়াছড়ি, শতরঞ্জিতে দু’টি কিনলে তিনটি ফ্রি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
ছাড়ের ছড়াছড়ি, শতরঞ্জিতে দু’টি কিনলে তিনটি ফ্রি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাণিজ্য মেলা থেকে: বাণিজ্যমেলায় এবার ছাড়ের ছড়াছড়ি। দেশি-বিদেশি সব ধরনের স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়নে ক্রেতা টানতে ছাড়ের ছড়াছড়ি চলছে।

দেশের বয়নশিল্পের অন্যতম নিদর্শন শতরঞ্জিতে পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের ছাড়।
 
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বাহারি সব শতরঞ্জির পণ্যে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ছাড়। যেমন- ৬শ’ টাকার বাথম্যাট কিনলে সঙ্গে থাকছে তিনটি ফ্রি। এছাড়া একটি ডোরম্যাট কিনলে একটি ও একটি বেনিম্যাট কিনলে একটি ফ্রি।
 
মেলায় শতরঞ্জির প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা ‍যায়, শতরঞ্জির প্লেসম্যাটে ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া শতরঞ্জির অন্য পণ্যে ২০ থেকে শুরু করে ৫০ শতাংশ পযর্ন্ত ছাড় মিলছে।

১০০, ১৫০, ২০০ ও ৩০০ টাকা মূল্যের একটি পাটের ডোরম্যাট কিনলে নগদ আরও একটি ফ্রি।
 
কারুপণ্য রংপুর লিমিটেড কাঁচা পাট, ঝুট, পাটের সুতালি, রিসাইকেল সুতাসহ দেশি কাঁচামালে তৈরি শতরঞ্জি আন্তর্জাতিক বাজারেও সুনাম কুড়িয়েছে। ২০ থেকে ২৫ ধরনের পণ্য মিলছে শতরঞ্জিতে। এর মধ্যে অন্যতম ডোরম্যাট, ফ্লোরম্যাট, বাতম্যাট, বেডসাইড ম্যাট, প্লেসম্যাট ও পর্দাসহ নানা পণ্য।
 
বিভিন্ন ধরনের নকশা ও আকারের শতরঞ্জি হস্তচালিত তাঁতে তৈরি করা হয়েছে। নানা রঙের সাগি রাগে দেওয়া হচ্ছে ২০ শতাংশ ছাড়।
 
হাতে নানা ধরনের কারুকাজ করা দরজা ও জানালার ডিভাইডার পর্দাও মিলছে ১০ শতাংশ ছাড়। মানভেদে এসব দরজার ডিভাইডার পর্দা ৮৮০, ৯০০ ও ১১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মনের মতো ঘর সাজাতে শতরঞ্জি প্যাভিলিয়নে ছুটে আসছেন গৃহিণীরা।

প্যাভিলিয়ন ইনচার্জ আশিকুর রহমান পাভেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ক্রেতা বলতে গৃহিণীদের বোঝাই। ঘর সাজানোর জন্য ওনারা এখানে প্রতিনিয়তই ছুটে আসছেন। দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
 
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১২ ডলার মূল্যের শতরঞ্জি ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়াসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশে রফতানি হয়েছে। যা মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৮২ কোটি টাকা। আশা করছি সামনে এই হার শতকোটি টাকা ছাড়াবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।