আমদানি করা পণ্যের ঘোষণায় প্রদত্ত এইচএস কোড ও পণ্যের বর্ণনা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সরেজমিনে পরীক্ষায় ভিন্নতর প্রমাণিত হলেও বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের মালামাল খালাস সহজ করা হচ্ছে। রপ্তানি বাণিজ্যের সহজ করতে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এ সম্পর্কিত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এনবিআর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রায়ই বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্য ও ঘোষণায় প্রদত্ত কোডের সঙ্গে কায়িক পরীক্ষায় নিরূপিত কোডের অমিল দেখা দেয়। ফলে শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়। এতে রপ্তানির নির্ধারিত সময়সূচি বিঘ্নিত হয়। এমন পরিস্থিতি নিরসনে নতুন নির্দেশনা কার্যকর করা হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত পণ্যের বর্ণনা ও এইচএস কোড অনুযায়ী আমদানি করা পণ্যের ঘোষণা জমা দেওয়ার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড নির্ধারণ করলে—যদি প্রাপ্ত কোডের প্রথম চার ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভুক্ত এইচএস কোডের প্রথম চার ডিজিটের সঙ্গে মিলে যায়, তাহলে অঙ্গীকারনামা দাখিল সাপেক্ষে দ্রুত পণ্য খালাস করা যাবে।
এ ছাড়া কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন এইচএস কোড নির্ধারণ করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সিবিএমএসের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে নতুন কোড প্রাপ্যতায় অন্তর্ভুক্ত করে পণ্য খালাস করতে পারবে।
এইচকোড নিয়ে হয়রানি হচ্ছে, এমন অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এই জটিলতায় অনেক ব্যবসায়ীর পণ্য বন্দরে আটকে আছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক ব্যবসায়িক সমাবেশে ব্যবসায়ী নেতারা ও অর্থনীতিবিদরা এ ধরনের অভিযোগ তোলেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এে সিদ্ধান্ত নেয় এনবিআর।
জেডএ/এএটি