ডিজিটাল ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর এর জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে, যা আগে ছিল ১২৫ কোটি টাকা।
রোববার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
২০২৩ সালে ডিজিটাল ব্যাংক নীতিমালা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হবে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায়। আর পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় থাকবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না।
ডিজিটাল ব্যাংকের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপ নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।
ডিজিটাল ব্যাংক আমদানি-রপ্তানি করতে কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। বড় ও মাঝারি শিল্প ঋণও দিতে পারবে না। শুধু ছোট ঋণনির্ভর লেনদেন করবে করবে এসব ডিজিটাল ব্যাংক।
ডিজিটাল ব্যাংকের লেনদেন হবে উচ্চতর প্রযুক্তি নির্ভর। ডিজিটাল ব্যাংকে দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা দিতে হবে। গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না।
এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন।
জেডএ/আরএইচ