ঢাকা, শনিবার, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীর অলিগলিতে কোরবানির পশুখাদ্য-সরঞ্জামের পসরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৪৯, জুন ৬, ২০২৫
রাজধানীর অলিগলিতে কোরবানির পশুখাদ্য-সরঞ্জামের পসরা

ঢাকা: রাত পোহালে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে।

বিক্রি হচ্ছে হাজারো কোরবানির পশু। একইসঙ্গে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ে ও অলিগলিতে পশুখাদ্য ও কোরবানির সরঞ্জামের পসরা নিয়ে বসেছেন অনেকে। ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য রাজধানীর ঘরে ঘরেও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রায় সব ভবনে এক থেকে একাধিক কোরবানির পশু আনা হয়েছে। শিশুরাও কোরবানির পশু নিয়ে আনন্দে মেতে উঠেছে।

শুক্রবার (৬ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, মাংস কাটার খাটিয়া কেনাবেচা করতে দেখা গেছে।  বিভিন্ন ধরনের ভূসি ৫০ থেকে ১শ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা ঘাসের আঁটি ৫০ থেকে ধরনভেদে দুইশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি ধানের খড় ২০ টাকা থেকে আকার ভেদে ৫শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হোগলাপাতার পাটি দাম ২শ থেকে ৩শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আকার ভেদে।  

মাংস কাটার খাটিয়া একেকটির ধরন ভেদে ২শ থেকে ৮শ টাকা বেশিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। সাধারণত তেঁতুল গাছের গুঁড়ি বা এমন কোনো গাছের শক্ত কাঠগুলো করে কেটে খাটিয়া বানানো হয়েছে।

কথা হয় কাজীপাড়া এলাকায় পশু খাদ্য, মাংস কাটার সরঞ্জাম বিক্রেতা নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, এসব সরঞ্জাম ভালোই বিক্রি হচ্ছে। একটা ও দুইটা করে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে বাসায় পৌঁছে দিতে অর্ডার করছে।  আমরা পৌঁছেও দিচ্ছি। কিন্তু বাসায় পৌঁছে দিলে দাম একটু বেশিই নিচ্ছি।


রাজধানীর প্রতিটি ভবনে কমপক্ষে একটি করে কোরবানির পশু সংগ্রহ করা হয়েছে। কিছু কিছু ভবনের নিচে ১০টা পর্যন্ত কোরবানির জন্য গরু, ছাগল কিনে এনে রাখা হয়েছে। এখনো কোরবানির পশু কেনা চলছে। এসব গরু ও ছাগলকে কোরবানিদাতারাই পরিবারের সদস্যরা খাওয়ানো থেকে অন্যান্য সেবা যত্ন করছেন। শিশুরা এসব পশুকে খাওয়ানো থেকে শুরুর গা ধুয়ে দেওয়া,মশার কামড় থেকে রক্ষাসহ সব ধরনের সেবা যত্ন করছে। যেন এক লেখাপড়া থেকে পরিবারের শাসন থেকে ছুটি নিয়েছে।

মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার আসাদুল করিম বলেন, কোরবানি যে মহান উদ্দেশ্য আছে তার পাশাপাশি শিশুদের একটি আনন্দের ব্যাপার আছে। যে পশুটিকে কোরবানি দেবো সেটাকে নিজের করে নেওয়ার জন্য একটু বাড়তি সময় হাতে নিয়ে কেনা হয়েছে। কোরবানির দুয়েকদিন আগে কিনলে খাওয়ানোসহ আদর যত্নের মধ্য দিয়ে সেই আপনত্ব তৈরি হয়। ভালোই লাগে।

কোরবানির পশুর যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ভবনের নিরাপত্তাকর্মীরাও। একই চিত্র দেখা গেল মোহাম্মদপুর, ফার্মগেটেরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।

জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।