ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

শাহজালালের সম্প্রসারণে আরও ৫৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
শাহজালালের সম্প্রসারণে আরও ৫৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাইকা

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (তৃতীয় কিস্তি) জন্য ৭৬ হাজার ৬৩৫ মিলিয়ন জাপানি ইয়েনের (প্রায় ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অফিসে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে জাইকা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এই ঋণচুক্তি করা হয়। প্রকল্পের আওতায় নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বিল্ডিং (টার্মিনাল-৩), নতুন কার্গো কমপ্লেক্স ও বহুস্তরবিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, এই ঋণের অধীনে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট মুডের সাথে যোগাযোগ, পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার মতো আনুষঙ্গিক সুবিধাদিতে অর্থায়ন করা হবে।

বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর মধ্য দিয়ে দেশের বিমান ও কার্গো চলাচলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ হবে। এতে করে বিমানবন্দরে প্রবেশ ও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ব্যবহার করা আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হবে এবং বিমানবন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব হবে।

এই ঋণচুক্তিতে সিভিল ওয়ার্কসের জন্য বার্ষিক ১ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদহার ও পরামর্শ সেবার জন্য ০.২০ শতাংশ সুদহারের মতো সহজ শর্ত সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঋণ পরিশোধের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর। এছাড়া, এতে ঋণের গ্রেস পিরিয়ড নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ বছর।

চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ হিরোশি ইয়োশিদা বলেন, বাংলাদেশের বিমান খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। এটি কেবলমাত্র ক্রমবর্ধমান চাহিদাই পূরণ করবে না, বরং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক কানেক্টিভিটির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলবে। এই উদ্যোগ আমাদের দুই দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।