চট্টগ্রাম: মুন্সি আহমেদ। বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল দশটার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকার গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাতকানিয়া-লোহাগড়া, চুনতি, খাগড়াবাড়ি, রাঙামাটি, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া থেকে নিজস্ব খামারে পালন করা গরু নিয়ে এসেছেন বেপারিরা। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকেও কিছু গরু এসেছে। ভারতীয় গরুর তেমন আধিক্য নেই এই বাজারে।
সাতকানিয়া থেকে ৫০টি গরু নিয়ে এসেছেন মো. সাজ্জাদুর রহমান। ৬ মাস আগে তিনি একটি গরু কিনেছিলেন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায়। সেই গরু মইজ্জ্যারটেক বাজারে মাত্র ৯৫ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে। যার কারণে তিনি খুব অসন্তুষ্ট। গরুগুলো বিক্রি না হলে বিরাট লোকসানে পড়বেন তিনি, আছে এমন দুশ্চিন্তাও।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গরু নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছি। এসেছি আরও দুইদিন আগে। এখনো একটিও গরু বিক্রি করতে পারিনি। আজ আর কাল যদি বিক্রি হয়, সেই আশায় আছি। সবকিছুর দাম বাড়তি। গত বছর ভুসির কেজি ৩৫ টাকা ছিল। সেই ভুসির দাম এখন ৫৫ টাকা। গরু পালন করতে খরচ আগের চেয়ে অনেক বেশি। তাই গরুর দামও বেশি নিতে হচ্ছে।
রাউজান থেকে আসা মোহাম্মাদ নবী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিজেরাই দেশিয় গরু লালন-পালন করে থাকি। এ বছর প্রায় সবকটি গরু দেশিয়। কিছু গরু আছে যেগুলো ভারতীয় জাতের।
মইজ্জ্যারটেক গরুর বাজারের পরিচালক জানে আলম বাংলানিউজকে বলেন, এখনো তেমন বেচাকেনা শুরু হয়নি। খুব কম বিক্রি হচ্ছে। আমাদের এখানে ১৫ হাজার গরু আছে। সব দেশি জাতের গরু। অল্পকিছু ভারতীয় জাতের গরু আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০২২
বিই/এসি/টিসি