ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি: ড. হাসিনা খান

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২২
জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি: ড. হাসিনা খান ...

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: জলবায়ুর পরিবর্তনের যে প্রভাব কৃষিতে পড়ছে এটা অকল্পনীয়। হাওড়ে আধাপাকা ধানগুলো কেন কেটে ফেলতে হচ্ছে? এগুলাে ভাবতে হবে।

মাটি লবণাক্ততা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। যার ফলে আমাদের কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তাই আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যাগুলো আমরা মোকাবিলা করতে পারবো না। যে গোল্ডেন রাইস অন্ধত্ব দূর করতে ভূমিকা রাখতে পারে, সেই চাল দীর্ঘদিন অনুমোদনের জন্য ঝুলে ছিল। সম্প্রতি সম্ভবত এটা অনুমোদন পেয়েছে। তাহলে এ আইন দিয়ে কী লাভ, যেটা আমাদের উপকার হওয়ার পথে বাধা দেবে।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার আলোচনা সভায় ইউজিসি অধ্যাপক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষক, বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে চবি সায়েন্টিফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ বিজ্ঞান মেলা। চিটাগং সায়েন্স কার্নিভাল ২.০ অনুষ্ঠানে সারাদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার বলেন, আজকের যুগে বিজ্ঞান সামগ্রিকভাবে গ্রহণ না করলে আমরা পিছিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিজ্ঞান চর্চায় সহযোগিতা করে আসছে। করোনাকালে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক কোভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেছেন। আগামী দিনেও যদি কোনও মহামারি আসে আমরা সেটা মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেন, প্রাকৃতিক যে সম্পদ আমাদের শক্তি, অথচ লোভ লালসার কারণে আমাদের সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আগামীর পৃথিবী আরও বসবাস অযোগ্য হয়ে উঠবে। আমাদের অর্ধেকের বেশি নারী, তাদের বাদ দিয়ে আমরা বিজ্ঞানে এগুতে পারবো না। তাদের উৎসাহিত করতে হবে বিজ্ঞানে এগিয়ে আসার জন্য।  

যেহেতু বিজ্ঞান সত্যকে আলিঙ্গন করে, বিজ্ঞান মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করেছে। একজন মানুষ অন্য একজনকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচায়। এটা বিজ্ঞান দেখিয়েছি আমাদের। বিজ্ঞান আমাদের সাশ্রয়ী হতে শিখিয়েছে। চেইন অব কমান্ড শিখিয়েছে আমাদের ডিএনএ। সীমা অতিক্রম করলে কী ক্ষতি হয় সেটাও বিজ্ঞান শিখিয়েছে আমাদের। ক্যান্সার হলো আমাদের কোষগুলোর সীমা অতিক্রমের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। বিজ্ঞানের এসব শিক্ষা আমরা যেন নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। বিজ্ঞান লব্ধ যে মূল্যবোধ সেটা কাজে লাগালেও একজন ভালো মানুষ হওয়া যায়।

এর আগে বেলা ১১টায় জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দে, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নাসিম হাসান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ-দৌল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মফিদুল আলম, মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের অধ্যাপক বাসনা মুহুরী।

আয়োজনের আহ্বায়ক চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান এবং সদস্যসচিব হিসেবে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এবং সিইউএসএস'র সভাপতি হোসাইন মোহাম্মদ বায়জীদ উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিদের আলোচনা পর্ব শেষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরর অংশগ্রহণে পোস্টার প্রেজেন্টেশন, প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন, হ্যাকাথন, রোবো সকার কম্পিটিশন, উপস্থিত বক্তৃতা ও কুইজ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২২
এমএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।