ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইডিইউতে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
ইডিইউতে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খানের সঙ্গে নেদারল্যান্ড পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এখানকার তরুণরা নিত্যনতুন ধারণা ও ব্যবসা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

তাদের দক্ষতা আরও উন্নত করে তুলতে সার্বিক সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ড সরকার।
সোমবার (২২ নভেম্বর) ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন নেদারল্যান্ডের অরেঞ্জ কর্নারসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার থিওডর ক্লোভাস।
সকাল সাড়ে ১০টায় ইডিইউতে এসে পৌঁছে ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।

এসময় তাদের বরণ করে নেন ইডিইউ উপাচার্য প্রফেসর সিকান্দার খান। পরে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন ইডিইউর প্রতিনিধিরা। এসময় উপাচার্য বলেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের দেশের উদ্যোক্তারা বিকশিত হচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় বা অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক নানা প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হতে হয় উদ্যোক্তাদের। তরুণদের মাঝে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ থাকলেও তাদের পরিবার এ ধরনের ঝুঁকি নিতে উৎসাহ দেয় না। ফলে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারেন না।

সভার শুরুতে ইডিইউ সম্পর্কে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. রকিবুল কবির। এ সময় তিনি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ইডিইউ গৃহিত পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নতুন আইডিয়া বা উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে থাকা শিক্ষার্থীদের পথপ্রদর্শন ও আর্থিক সহযোগিতা দিতে ইডিইউ ফাউন্ড্রি উন্মুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সম্ভাবনাময় নারীদের বিনাখরচে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ইডিইউতে আছে উইম্যান এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড লিডারশিপ ফান্ড।

থিওডর ক্লোভাস তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, অরেঞ্জ কর্নারস হল নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগ যা আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শদান, নেটওয়ার্ক তৈরি এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে। উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে স্থানীয় চ্যালেঞ্জ হ্রাসে পদক্ষেপ নিই, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অবদান রাখে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের গড়ে তুলতে অবকাঠামো শক্তিশালী ও ব্যবসা সহায়ক করতে হবে। নেদারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশে মনোনিবেশ করে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নানা কার্যক্রমে জড়িত হয় যার মাধ্যমে তাদের মাঝে গড়ে ওঠে উদ্যোক্তা হওয়ার যাবতীয় গুণাবলী ও দক্ষতা। বাংলাদেশের আগ্রহী উদ্যোক্তারাও তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনে নেদারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে পারে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন অরেঞ্জ কর্নারসের ইনোভেশন ফান্ডের অ্যাডভাইজর মাইক সিপস, ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের ফার্স্ট সেক্রেটারি বাস ব্লাও, ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের সিনিয়র অ্যাডভাইজর মাহজাবিন কাদের ও মমতার পরিচালক তৌহিদ আহমেদ।

ইডিইউর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক সামস-উদ দোহা, রেজিস্ট্রার সজল বড়ুয়া, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর রওনক আফরোজ, তাসমিম চৌধুরী বহ্নি, রুবিনা ইয়াসমিন, লেকচারার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।