ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জুলুস যাবে যে পথে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
জুলুস যাবে যে পথে জশনে জুলুস। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল আটটায় ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস বের হবে।  

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও শুক্রবার জুমার নামাজের কারণে এবার জুলুসের রোডম্যাপ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।

জুলুসে বিতরণের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে কয়েক লাখ মাস্ক। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী সবাইকে মাস্ক, হাতে দেওয়ার জন্য জীবাণুনাশক পানির স্প্রে ও হ্যান্ড স্যানটাইজার নিয়ে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 

জুলুসকে ঘিরে ইতিমধ্যে ব্যানার, পতাকায় ছেয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে মাদ্রাসা পর্যন্ত পুরো এলাকা। আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্সের পাশাপাশি কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত স্বাস্থ্যবিধি ও শৃঙ্খলা রক্ষায়।  

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বাংলানিউজকে বলেন, আলমগীর খানকাহ থেকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুলুস বের হয়ে মুরাদপুর হয়ে প্রধান সড়ক ধরে দুই নম্বর গেট, জিইসির মোড়, ওয়াসা পর্যন্ত যাবে। এরপর একই সড়ক দিয়ে আবার জুলুস জামেয়া মাঠে ফিরে আসবে। সেখানে মিলাদ, জুমার নামাজ ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।  

অন্যান্য বছর আলমগীর খানকাহ থেকে জুলুস বের হয়ে মুরাদপুর-পাঁচলাইশ-চকবাজার-দিদার মার্কেট-চেরাগি পাহাড়-চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব- জামালখান মোড়, আসকারদীঘি-কাজীর দেউড়ি-ওয়াসা হয়ে মাদ্রাসা মাঠে ফিরত।  

১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এ জুলুস হয়ে আসছে। ওই বছর নগরের বলুয়ার দীঘি খানকাহ থেকে আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ জুলুসের প্রচলন করেন।  

মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ শাখা থেকে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুলুস আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমত আমরা মাস্ক না পরলে কাউকে জুলুসে অংশ নিতে কিংবা আলমগীর খানকাহ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় ঢুকতে দেব না। দ্বিতীয়ত মাদ্রাসা মাঠ, খানকাহ, আশপাশের সব সড়কে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হবে। এ ছাড়া যেহেতু সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জুলুস করার অনুমতি পাওয়া গেছে তাই অন্যান্য বারের মতো লাখো লোকের সমাগম হবে না। যারা জুলুসে আসবেন তাদের বিতরণের জন্য আমরা ভক্ত আশেকদের বেশি বেশি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আনজুমান, গাউসিয়া কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগেও মাস্ক বিতরণের ব্যবস্থা থাকবে। আখেরি মোনাজাতে করোনামুক্ত বিশ্বের জন্য দোয়া করা হবে।   

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ কমিশনার (সিটি এসবি) মো. আবদুল ওয়ারিশ বাংলানিউজকে জানান, জুলুস উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও থাকছে।  

>> জুলুস হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২০
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।